নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলা জুড়ে চরম বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। পবিত্র রমজান মাসে এমন পরিস্থিতিতে চরম ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। সোমবার কোথাও কোথাও ইফতার-সেহরীর সময়েও বিদ্যুৎ ছিলো না। তারাবিহ পড়তেও চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় মুসল্লীদের। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এবার সাতক্ষীরায় সর্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা বিরাজ করছে।
তালা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানান, গত কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটছে। এতে ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তি এবং সাংসারিক কাজকর্মে নারীরা পোহাচ্ছেন চরম ভোগান্তি। বিশেষ করে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা লোকজনও গরমে পড়েন ভোগান্তিতে। তালা বাজারে ব্যবসায়ী সৈয়দ বাচ্চু হোসেন জানান, আশা করেছিলাম এই ঈদে ভাল বেচাকেনা হবে। এমন লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় আমরা ব্যাপক ক্ষতির মধ্যে পড়ে যাব।
ফতেমা খাতুন এক নারী জানান, বিদ্যুৎ যাওয়া মাত্রই গরমে কোলের শিশু কেঁদে উঠছে। ছাত্রছাত্রীরা পড়ালেখা করতে পারছে না। বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রিজের খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে তাঁদের পক্ষে জীবন যাপন করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। তালার হাজরাকাটি গ্রামের এহতেশামুল হক বুলবুল জানান, নামাজ চলাকালেই বিদ্যুৎ চলে যায়।
এতে সারা দিন রোজা রেখে রোজাদাররা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। সাত-আট দিন ধরে প্রচন্ড গরমের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে লোডশেডিং হচ্ছে। এমন লোডশেডিং আগে কখনো দেখিনি। শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি ভোগান্তির মধ্যে আছেন। শাহাপুর গ্রামে আতাউর রহমান জানান, আমরার এলাকায় ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় এই গরমে মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠছে।
সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন তালা সাব-জোনাল অফিসের এজিএম লিটন চন্দ্র দে জানান, তালা সাব-জোনাল অফিসের আওতাধীন গ্রাহকদের প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা থাকে সাড়ে ৮ মেগাওয়াট। বিপরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয় ৪-৫ মেগাওয়াট। তিনি জানান, রামপাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র জরুরি শাটডাউন এ যাওয়ার কারনে দক্ষিণ অঞ্চলে কিছু জেলায় ভয়াবহ লোডশেডিং চলছে।