বুধবার , ২৬ এপ্রিল ২০২৩ | ৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আশাশুনি
  4. কলারোয়া
  5. কালিগঞ্জ
  6. কৃষি
  7. খুলনা
  8. খেলা
  9. তালা
  10. দেবহাটা
  11. বিনোদন
  12. যশোর
  13. শিক্ষা
  14. শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  15. শ্যামনগর

বুধহাটায় আম শিল্পে ধস নামা রক্ষার্থে জেলা প্রশাসকের কাছে আকুতি

প্রতিবেদক
satkhirar sakal
এপ্রিল ২৬, ২০২৩ ১১:৩২ অপরাহ্ণ

আশাশুনি প্রতিনিধি : কয়েক বছর ধরে চরম ক্ষতিগ্রস্ত আশাশুনি উপজেলার আম ব্যবসায়ীরা এবছর পুঁজিসহ ব্যবসা ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার্থে জেলা প্রশাসকের কাছে আকুল আকুতি জানিয়েছেন। বহির বিশ্বে দেশের সম্মান রক্ষাসহ সাধারণ মানুষের মুখে স্বাস্থ্য সম্মত আম তুলে দিতে সততার সাথে ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য তারা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহনে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বুধহাটা করিম সুপার মার্কেটে আম ব্যবসায়ী সভায় তারা এ আকুতি জ্ঞাপন করেন। আশাশুনি উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র বুধহাটা এলাকা সংশ্লিষ্ট আম ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিতে সভায় বক্তব্য রাখেন, ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলী, রেজাউল করিম, কবির হোসেন, আজহারুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তাগণ বলেন, গত বছর ঘূর্ণিঝড়সহ নানা কারনে আম নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আমরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পূঁজি হারিয়েছিলাম। এক বছর ধরে আমরা জমি বন্ধন দিয়ে ও ব্যাংক-এনজিও থেকে ঋণের টাকা ব্যয় করে সেচসহ পরিচর্চার মাধ্যমে প্রচুর আমের ফলন ফলাতে সক্ষম হয়েছি। ব্যাপক তাপমাত্রা ও লবণাক্ততার কারনে এবং আশাশুনির প্রেক্ষাপটে অগ্রিম জাতের অনেক গাছের আম পেকে গেছে। বিশেষ করে গোলাপ খাস, শরীফ খাস, বেল খাস, গোবিন্দ ভোগ, গোপাল ভোগ ও বিভিন্ন প্রজাতির আটির আম, বৈশাখী আম পেকে গেছে। বাদুড়ে আম খেয়ে যাচ্ছে, পাকা আম পড়ে নষ্ট হচ্ছে।

এসব আম এখনই পেড়ে বাজারজাত, আড়তজাত করা জরুরী হয়ে পড়েছে। সদাশয় জেলা প্রশাসন গত বছর ১ মে অগ্রিম জাতের আম ও ৫ মে’র পর থেকে হিমসাগর আম বাজারজাত করার সময় বেধে দিয়েছিলেন। কিন্তু এবছর ১১ দিন পিছিয়ে ১২ মে স্থানীয় জাতের, ২০ দিন পিছিয়ে ২৫ মে হিমসাগর/ক্ষীরসাপাতি, ১ জুন ল্যাংড়া ও ১৫ জুন থেকে আ¤্রপালি আম পাড়ার সময় নির্দ্ধারন করা হয়েছে। কাল বৈশাখীর ছোবলে পড়লে গাছের অগ্রিম জাতের পাকা আম নষ্ট হয়ে যাবে।

ব্যবসায়ীরা বিনয়ের সাথে দাবী করেন, অগ্রিম জাতের আম পেকে গেছে। এসব আমগুলো প্রশাসনের তদারকিতে ব্যবসায়ীদেরকে গত বছরের সময় মত ১ মে থেকে পাড়ার অনুমতি দেওয়া হোক। তারা প্রশাসনের অবগতির মাধ্যমে তাদের সরেজমিন উপস্থিতিতে আম পেড়ে আড়ৎজাত করতে চায়।

রাসায়নিক দ্রব্য তারা সম্পূর্ণভাবে ব্যবহার না করার নিশ্চয়তা প্রদান করে বলেন, ৩ মাস আগে গাছে মুকুল এসেছিল, পরবর্তীতে আরও ২ বার মুকুল এসেছে। প্রথম মুকুল আসা গাছের আম পেকে গেছে। অপরপিক্ক জাতের আম তারা যথারীতি বিলম্বে পাড়তে চায় এবং বিদেশে রপ্তানীযোগ্য করে বাজারজাত করতে চায়। তারা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে সদয় দিক নির্শেনার আবেদন জানিয়ে বলেন, পাকা আম পাড়তে না দিলে ব্যবসায়ীরা বিগত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং এবছরের লাভের মুখ দেখতে পারবে না।

আশাশুনি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এস এম এনামুল ইসলাম জানান, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে তারা যথাসাধ্য কাজ করে যাচ্ছেন। ব্যবসায়ীদের কোম্পানীর সাথে চুক্তি থাকলে চুক্তিপত্র দেখাতে হবে, অগ্রিম পেকে যাওয়া আম পাড়তে হলে আড়তদারের সাথে আমাদের যোগাযোগ করতে হবে। তখন উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সরেজমিন পাঠিয়ে সঠিক চিত্র পর্যবেক্ষণ করে বিশেষ ব্যবস্থাধীনে আম পাড়ার ব্যবস্থা করা হবে। যাতে চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হন সেদিক বিবেচনা করা হবে। তবে কোন ভাবেই অপরিপক্ক আম পাড়া বা রাসায়নিক দ্রব্য মিশানোর মাধ্যমে আম পাকানোর সুযোগ দেওয়া হবেনা বলে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

সর্বশেষ - সাতক্ষীরা সদর

আপনার জন্য নির্বাচিত

পাইকগাছায় লবণ পানি উত্তোলন বন্ধে মানববন্ধন-বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান

৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে জেলা আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা

শ্যামনগরে কাঁচাবাজার মনিটরিং করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

১৮ মাস পর আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান অপারেশন চালু

শ্যামনগরে শিবিরের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

কালিগঞ্জে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশের দায়ে ২ হাজার কেজি চিংড়ি বিনষ্ট ও ১২জনকে জেল

জেলার গৌরবময় ইতিহাস-ঐতিহ্যের বিকাশে দৈনিক সাতক্ষীরার সকালের সাহিত্য আড্ডা

আ’লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা এনসিপি’র বিক্ষোভ সমাবেশ

কুল্যার বজরা খাল খনন কাজ উদ্বোধন

দেবহাটায় ৬ সংগঠনে সমাজসেবার চেক প্রদান