আলতাফ হোসেন বাবু : সাতক্ষীরায় বাল্য বিয়ে ঠেকালেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ জোহরা। শুক্রবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সাতক্ষীরা নবারুন বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্য বিয়ে ঠেকান সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুজ জোহরা।
সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা শহরের মিয়া সাহেবেরডাংগি এলাকার রুহুল আমিন ও মরিয়ম বেগমের কন্যা সাতক্ষীরা নবারুন বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী (১৬)’র সাথে কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের বাঁটরা গ্রামের শেখ রবিউল ইসলামের ছেলে শেখ সাদিকুর রহমানের বিয়ে ঠিক করেন।
২৮ এপ্রিল শুক্রবার কনে পক্ষ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের নুনগোলা গ্রামে মেয়ের নানা বাড়িতে গোপনে বিয়ের আয়োজন করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুজ জোহরা’র নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হলে ছেলে পক্ষ, মেয়ের পিতা ও বিয়ের কাজী মাও. রওশন আলম বিয়ে বাড়ির পেছনের বাগান দিয়ে দ্রæত পালিয়ে যায়।
এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মেয়ের মাতা মরিয়ম বেগম কে তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মেয়ে কে বিয়ে দিবেন না বলে মচলিকা মচলিকা দেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন ওসিসি প্রোগ্রাম অফিসার আব্দুল হাই সিদ্দিকী, সাতক্ষীরা বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ কমিটির অন্যতম সদস্য সাকিবুর রহমান বাবলা, স্থানীয় ইউপি সদস্য কুরমান আলী, গ্রাম পুলিশ প্রমুখ।