রাবিদ মাহমুদ চঞ্চল : এখনো গড়ে ওঠেনি লোকালয়। আশপাশে শুনশান নিরবতা, চারিদিকে আগামীর নগরায়নের হাতছানি। এখন অনেকটাই জনবিচ্ছিন্ন স্থান। সেই জনহীন বিলের মধ্যে রেললাইনের পাশে নির্মিত হয়েছে খৃলনার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়ন ভ‚মি অফিস। সেখানে যাতায়াতের সড়কও নেই। ভবনটি নির্মাণের আড়াই বছর পার হয়েছে।
অথচ সেটি এখনও চালু করা সম্ভব হয়নি। যা নিয়ে ইউনিয়নের মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ডুমুরিয়া উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, জমির নামজারি বা মিউটেশনের প্রস্তাব প্রেরণ, খাজনা আদায়, সরকারি ভ‚মির তত্ত¡াবধায়ন, ভূমি সংক্রান্ত তদন্ত, তহসিল অফিসের রেকর্ড, রেজিস্টারের ব্যবস্থাপনা এবং তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদানে দেশে ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করে সরকার।
যার ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালে খুলনার ডুমুরিয়ায় গুটুদিয়া ইউনিয়নেও একটি ভ‚মি অফিস নির্মিত হয়। অফিসটির অবস্থান মোস্তফার মোড়ের সন্নিকটে। সূত্র জানায়, অফিসের ভবনটি নির্মাণ করে খুলনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। আড়াই বছর আগে কাজ সমাপ্ত হয়। কিন্তু এখনও তা চালু করা সম্ভব হয়নি। ফলে সুফল বঞ্চিত হচ্ছে ইউনিয়নের মানুষ। ইউনিয়নের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম ও পরিতোষ মন্ডল জানান, অফিস হয়েছে ফাঁকা বিলে। যার আশপাশে লোকালয় নেই। রয়েছে মৎস্য ঘের ও ধানি জমি। ওখানে বসতি গড়ে উঠতে এখনও কয়েক বছর সময় লাগবে।
এছাড়া তারা জানান, ভ‚মি অফিসে প্রবেশে রাস্তাও নেই। কেউ পরিবহন নিয়ে অফিসে প্রবেশ করতে পারবে না। ফলে অফিসটি চালু হলে সেবা পেতে মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে। আলমঙ্গীর হোসেনসহ কমলাপুর গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন , ভূমি অফিস নির্মিত হয়েছে লোকালয়ের বাইরে। জনবিচ্ছিন্ন একটি জায়গা। যেখানে লোকজনের যাতায়াত খুবই কম। পরিবহন পাওয়াও মুশকিল। ফলে সেবা গ্রহনে মানুষ দুর্ভোগে পড়বে।
এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া সহকারি কমিশনার (ভূমি) আফরোজ শাহীন খসরু বলেন, অর্গানোগ্রাম অনুমোদন হয়নি। বাড়তি জনবলও এখানে নেই। ফলে জনবলের অভাবে চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে জনবলের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ফাঁকা বিলে ভ‚মি অফিস নির্মাণের ব্যাপারে তিনি বলেন, জায়গা নির্ধারণের সময়ে তিনি এই কর্মস্থলে ছিলেন না। তবে ওই এলাকায় নতুন নতুন আবাসিক এলাকা গড়ে উঠেছে। সেকারণেই হয়তো জায়গাটি পছন্দ করা হয়েছে এমন ধারণা করেন তিনি।