সেলিম হায়দার : সাতক্ষীরায় চলতি মৌসুতে আম ভাঙ্গা শুরু হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের বেধে দেয়া সময় সুচি মোতাবেক শুক্রবার (৫ মে) থেকে কয়েক জাতের আম পাড়া শুরু করা হয়। সাতক্ষীরা জেলা আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করার ক্যালেন্ডার সংশোধন করা হয়।
সে অনুযায়ী ৫ মে থেকে গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, বোম্বাই, গোলামখাস, বৈশাখীসহ অন্যান্য স্থানীয় জাতের আম, ১০ মে থেকে হিমসাগর ১৮ মে থেকে ল্যাংড়া ও ২৮ মে থেকে আম্রপালি আম পাড়ার দিন ঠিক করা হয়েছে।
আমচাষি আছাদুজ্জামান রাজু জানান, ‘গত বছর উৎপাদন কম হওয়ায় লোকসান হয়েছিল। এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। বাগান লিজ নিলে তার পেছনে অনেক টাকা খরচ হয়। বাগান পরিচর্যা, পোকামাকড় মুক্ত করতে ওষুধ প্রয়োগ, ফলনের পর বাজারজাত, শ্রমিকের পেছনে অনেক টাকা ব্যয় হয়। ফলন ভালো হলে আমাদের লাভ হয়। এবার আশা করছি, লাভের মুখ দেখবো।’
আমচাষি এজাহার আলী বলেন, ‘আমি ৪০-৫০ বিঘা বাগান কিনেছি। শুক্রবার থেকে গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, বোম্বাই, গোলামখাস, বৈশাখীসহ আম ভাঙ্গা শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীরা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন। তাদেরও লাভ হচ্ছে।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, সাতক্ষীরা জেলায় আমের সুখ্যাতি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। সাতক্ষীরার আম বিদেশে রপ্তানি হয়।
আমের মান ঠিক রাখতে সাতক্ষীরা জেলা কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগ জেলা প্রশাসন ও আমচাষিদের সঙ্গে আলোচনা করে কয়েক বছর ধরে আম পাকার ও আম পাড়ার সময় পর্যালোচনা করে আম পাড়ার দিন নির্ধারণ করা হয়। জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে এ বছর জেলার ৪ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে।
জেলায় সরকারি তালিকাভুক্ত পাঁচ হাজার ২৯৯টি আমবাগান ও ১৩ হাজার ১০০ চাষি রয়েছেন। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। যে ফলন হয়েছে, তাতে আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।