বিলাল হোসেন, শ্যামনগর : শ্যামনগর উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ইউনিয়ন পদ্মাপুকুর ও গাবুরা মাঝে খোলপেটুয়া ও কপতক্ষ নদীর মোহনায় নির্মিত চৌদ্দরশীর ব্রিজ। ব্রিজটা ভাঙ্গনের কবলে পড়ায় চরর্ম দূরভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। ভাঙন মেরামত না হলে ২ ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
এ ভাঙনে বিভিন্ন সময় দূর্ঘটনায় পড়ছে পথচারীরা। সড়ক পথে চলাচলের জন্য এই ব্রিজের উপর দিয়ে ছাড়া অন্য কোন উপায় না থাকায়, বিকল্প পথ হিসাবে ঝুঁকি নিয়ে নৌকা ও ট্রলারে যাতায়াত করছে জনসাধারণ। জানাগেছে ২০০৮-৯ সাল অর্থ বছরে ১২০ মিটার এই ব্রিজ টি নির্মিত হয়। পরবর্তীতে দেখাশুনার অভাবে বর্তমানে ব্রিজের গাবুরা পার হতে শতাধিক গজ ভাঙ্গনের কবলে পড়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ব্রিজের বেশ কয়েকটি স্থানে ফাটল ও দেখা দিয়েছে।
অনিশ্চয়তা ও ভয় নিয়ে পারাপার হচ্ছে স্কুলপড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী সহ সাধারন মানুষ। গাবুরা ইউনিয়নের আতিয়ার রহমান বলেন, এই ব্রিজ আমাদের সড়ক পথের একমাত্র চলাচলের পথ গাবুরার পারে ভাঙ্গন লাগছে একপাশ দিয়ে চলাচল করছি কিছুদিন পরে এ পাশেও ভাঙ্গন যদি লাগে তাহলে আমাদের দূরভগের শেষ থাকবে না। পাতাখালী এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন ভাগন লাগেছে তা এখন সংস্কার না করতে পারলে আমার মনে হয় যেকোনো সময় নদীগর্ভে চলে যেতে পারে ব্রিজটি। গাবুরা ইউনিয়নের হাবিবুল্লাহ জানায়, তিন নদীর মুখে হওয়ায় অন্য জায়গার তুলনায় এখানে ভাঙ্গন লাগছে বেশী তবে এখুনি যদি জিও ব্যাগ দিয়ে সংস্কার করা হয় তাহলে ব্রিজটি বাঁচানো যাবে।
স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, প্রথম যখন ভাঙ্গন লাগছিল ইউনিয়ন পরিষদ ও কতৃপক্ষের অবহেলার কারনে আজ আমাদের এই চরর্ম দূরভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, সওজ মোঃ আজহারুল ইসলাম বলেন আমারা জানতে পারছি ওখানে আমাদের লোক পাঠানো হয়ছে দ্রæত সংস্কার এর ব্যাবস্থা করা হবে প্রতন্ত অঞ্চল হওয়ায় আমরা একটু পরে জানতে পারছি তবে কাজ পদক্ষেপ দ্রæত নেওয়া হবে গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসিদুল ইসলাম বলেন, ওখানে তিন বছর আগেও একবার লাগছিল ডিসি সাহেবের সাথে কথা বলে একটা বরাদ্দ দিছিল তারপর সংস্কার ও হয়েছিল কিন্তু আবার সমস্যা হয়ছে ইতিমধ্য প্রশাসন কে জানিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, আমি জানতে পারার সাথে সাথে ওখানে ইউপি চেয়ারম্যানকে সেখানে পাঁঠানো হয়েছে এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কে অবগত করছি।