শেখ বাদশা, আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকালে বুধহাটা আঞ্চলিক প্রেসক্লাবে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ এ সংবাদ সম্মেলন করে।
লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ জাহিদ হাসান বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, দীর্ঘ ৯মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীকে পরাস্থ করে এক স্বাধীন সর্বভৌম উপহার দেয় বাঙ্গালী জাতিকে।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হচ্ছে সেই স্বাধীন দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে জাতির সেই শ্রেষ্ঠ সন্তান, স্বাধীনতা সংগ্রামী, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্চিত করা হয়। আর যার নেতৃত্বে ছিলেন কুন্দুড়িয়া ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান, স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও নাশকতা মামলার আসামী আনারুল হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, গত ইং ১৬ মে-২৩ বুধহাটা ইউনিয়নের কুন্দুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিযোগের তদন্তকালে ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান ও তার আপন সহদর ভাই নাশকতা মামলার আসামী আনারুল হোসেন এবং তাদের দলবল একজোট হয়ে আব্দুল গফুরের মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতা সংগ্রামী খেতাবকে নিয়ে কুটুক্তি মূলক বক্তব্য প্রদান করেন। তাদের এধরণের ঘৃণীত বক্তব্যে শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের নয়, জাতিকে অপমানের সামিল বলে মনে করেন তারা।
ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসকল স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে অতিদ্রæত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক সামছুরজ্জামান রাজু, ছাত্রলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়কৃষ্ণ কর্মকার, ছাত্রলীগ নেতা মাহিনুজ্জামান রাজ, ইমন হোসেন, ইমরান হোসেন, ফয়সাল আহম্মেদ প্রমুখ।
এব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান বলেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করি। তবে ঘটনাস্থলে তদন্তের শেষ পর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর গফুর ও তার ভাই আমিনুর রহমান আমার আপর চড়াও হলে আমার ভাই আনারুল ইসলাম ও উপস্থিত আমার সমর্থকদের সাথে কথা কাটাকাটি এবং হাতাহাতি হয়।