রাবিদ মাহমুদ চঞ্চল : দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে কেন্দ্রীয় বিএনপির কমিটির কাছে তালিকা পাঠাবে খুলনা নগর বিএনপি। সে মোতাবেক এসব প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় কমিটি চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, গেল মঙ্গলবার দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে খুলনায়ও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতা। আবার দুএকজন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলেও নিজেকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বাস্তবিক অর্থে শেষ পর্যন্ত তারা কি করবেন এটা নিয়েও সংশয় রয়েছে নেতৃবৃন্দ মধ্যে।
অপরদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, বিএনপির সাবেক ও বর্তমান কাউন্সিলরদের মধ্যে ৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন ১৯নং ওয়ার্ডে আশফাকুর রহমান কাকন, ২২নং ওয়ার্ডে মাহাবুব কায়সার, ২৪নং ওয়ার্ডে শমসের আলী মিন্টু ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মাজেদা বেগম। এর মধ্যে ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশফাকুর রহমান কাকন ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক।
২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহাবুব কায়সার আগেই দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি শমসের আলী মিন্টু ও মাজেদা বেগম বিএনপির কোনো কমিটিতেই নেই। এর মাঝে বিএনপির কয়েকজন নেতা বলেন,গাজীপুরে সবাই কোনো না পদে ছিলেন। এজন্য তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু খুলনায় যারা অংশ নিয়েছেন তাদের দুই জনের দলের প্রাথমিক সদস্য পদই নেই। তাদের বহিষ্কার নিয়ে হাস্যরস তৈরি হওয়ার আশংকা রয়েছে।
এদিকে কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও জমা দেননি ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক ও বর্তমান ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান মনি। বিগত দুই বার বিপুল ভোটের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। এবারও জয়ের সম্ভাবনা ছিলো। কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচন থেকে সরে এসেছেন তিনি। এ ব্যাপারে হাফিজুর রহমান মনি বলেন, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়। দলের বৃহত্তর স্বার্থে নিজেকে কোরবানি দিলাম। এলাকাবাসী আমার সিদ্ধান্তে কষ্ট পেয়েছেন। তাদের কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থী।
অন্যদিকে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পি বলেন-যারা অংশ নিচ্ছে তাদেরকে বলেছি, অনুরোধ করেছি তারপরও আমরা প্রত্যাহারের শেষ ঘন্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করবো তারপর কেন্দ্রকে জানাবো। গাজীপুর দৃষ্টান্ত আমাদেরকে চোখের সামনে আছে, আশাকরি এর ব্যতয় হবে না।
এবিষয়ে খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড: শফিকুল আলম মনা বলেন-যারা এই নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে অংশ গ্রহন করবে আমরা তাদের একটা তালিকা করে কেন্দ্রে পাঠাবো,কেন্দ্র তাদের বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন বলে আশাকরি। তিনি গাজীপুর সিটির চিত্র তুলে ধরে বলেন-ইতোমধ্য দলের প্রতিটি সভায় নেতাদের বার বার নির্বাচনের বিষয়ে হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা কাউন্সিলরদের বোঝানো হয়েছে। যারা কথা শোনেননি, তাদের বহিষ্কার করা ছাড়া উপায় নেই।