নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কুল্ল্যা ইউনিয়নের বাহাদুরপুর খাল খননে অনিয়মের অভিযোগ উটেছে। সিডিউলের নকশাকে পাশ কাটিয়ে কৃষি জমি নষ্ট করে বাহাদুরপুর খাল খননের মাটি দিয়ে কৃষি জমি নষ্ট করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ঠিকদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। স্থানীয় জমির মালিকদের বাঁধায় রাস্তা তৈরি বন্ধ করে দিয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয়দের অভিযোগ থেকে জানা যায়, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কুল্ল্যা ইউনিয়নে বাইন বসত স্লুইস গেট থেকে বাহাদুপুর গেট পর্যন্ত খাল খনন চলছে। খুলনার মাসুদ ও টিপুর মেসার্স নেচারাল এন্টার প্রাইজ কাজটি পেয়েছে। আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের সুরত আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম ও আব্দুস সালাম, আব্দুল মজিদের ছেলে পলাশ, মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে আসাদুল ইসলাম, জাবেরের ছেলে রাকিব ও মৃত নিয়ামুদ্দিনের ছেলে মতলেব আলীর জমির উপরে বাহাদুরপুর খালের মাটি কেটে তাদের জমির উপর ফেলে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে।
গত ১ মে থেকে বাহাদুরপুর স্লুইস গেট থেকে সজনাপুর স্লুইসগেট পর্যন্ত ২৫০০ মিটার খাল খননের কাজ করছে মেসার্স নেচারাল এন্টার প্রাইজ নামক একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কুল্যা ইউনিয়নের কচুয়া মৌজায় কৃষক পলাশের ৪ বিঘা, আসাদুল ইসলামের ১৫ কাঠা, সুরত আলীর ১০ কাঠা, শফিকুল ইসলামের ৫কাঠা, আব্দুস সালামের ১০ কাঠা জমি, রাকিবের ৫ কাঠা, মতলেব আলীর ২৫ কাঠা কৃষি জমি রয়েছে।
বাহাদুরপুর খাল কেটে তাদেও জমির উপরে মাটি ফেলে জোর করে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। উপর সাইটে তিন নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নজরুল ইসলামের জমি থাকলেও কম মাঠি ফেলা হচ্ছে সেখানে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বরের নির্দেশে ব্যক্তি মালিকানা জমির উপরে খালের মাটি ফেলে পথ তৈরি করা হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
স্থানীয় জমি মালিকদের বাধার মুখে রাস্তা তৈরী বন্ধ করে দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বাহাদুরপুর গ্রামের সুরত আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম ও মতলব আলীসহ একাধিক কৃষক বলেন, খাল খনন হলে আমাদের সবার জন্য উপকার। এই বিষয় নিয়ে আমাদের কোন অভিযোগ নেই। কিন্তু খনন করে দুই পাশে মাঠি ফেলার কথা থাকলেও খালের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে বেশি মাঠি ফেলা হচ্ছে এবং রাস্তা তৈরী করা হচ্ছে।
এতে করে আমাদের অনেক জমি নষ্ট হচ্ছে। আমরা যে কজন কৃষক আছি, অল্প জমিতে চাষ করে খুব কষ্টে আমাদের জীবন চলে। এভাবে আমাদের এভাবে রাস্তা নির্মাণ করলে আমরা খুবই ক্ষতিগ্রস্থ হবো। এছাড়া সিডিউল অনুযায়ী খাল না করে কোন রকম খাল কেটে চলে যাচ্ছে। অল্প কয়েক দিনেই এইগুলো আবারও ভরাট হয়ে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। সরকারের এতোগুলো টাকা পানিতে চলে যাবে।
এবিষয়ে মেসার্স নেচারাল এন্টার প্রাইজের সাইট ম্যানেজার আবুল হাসান বলেন, সিডিউল অনুয়ায়ী কাজ করছি। মাটি কেটে সমান করার কথা থাকলেও রাস্তা করার কথা নেই। রাস্তা আমরা করতে চাইনি চেয়ারম্যান ও মেম্বার আমাদের দিয়ে জোরপূর্বক করিয়েছে।