মণিরামপুর (যশোর) : যশোরের মণিরামপুর পৌরশহরের গার্মেন্টস পট্টিতে এক রাতে ১৪ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুঃসাহসিক চুরি সংগঠিত হয়েছে। বুধবার দিনগত ভোর রাতে লোহা জাতীয় রড দিয়ে সার্টার তুলে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে ঢুকে ক্যাসবাক্স ভেঙে প্রায় চার লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চোরেরা।
কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চুরির দৃশ্য দেখা গেলেও চোরের মুখ গামছা বাঁধা থাকায় তাকে কেউ সনাক্ত করতে পারেননি। ফুটেজ অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে একজনই এ চুরি করেছে। মণিরামপুর পৌরশহরের ব্যস্ততম ও ব্যবসারপ্রাণ কেন্দ্র হলো গার্মেন্টস পট্টি।
সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজের সময় অনুযায়ী ভোর পাঁচ টার পরে চুরি শুরু হয়। প্রথমে মাস্টার মোশারফ হোসেনের মালিকানাধীন বস্ত্রালয়ে মুখে গামছা বাঁধা একজন লোহার রড জাতীয় কিছু দিয়ে সার্টারের নীচে চাপ দিয়ে উঁচু করে ভিতরে প্রবেশ করে। এরপর দোকানের ক্যাসবাক্স ভেঙে টাকা নিয়ে একইভাবে একে একে ১৪ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সার্টার উচু করে।
এরমধ্যে গ্রার্মেন্টস ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদ, রবিউল ইসলাম, ফারুক হোসেন, শফিকুল ইসলাম, সাঈদ কবীর পলাশ, আফজাল হোসেন আব্দুর রহিম, আব্দুল হামিদ ও সেলিম হোসেনের দোকানে ঢুকে ক্যাশবাক্স ভেঙে প্রায় ৪ লাখ টাকা চুরি হয়।
অপর চারটি দোকানের সার্টার একইভাবে উঁচু করলেও ভিতরে ঢুকতে পারেনি চোর। চুরি সংগঠিত এলাকায় আবু হাশেম ও আব্দুল মজিদ নামে দুইজন নৈশ প্রহরী ছিলেন। নৈশ প্রহরী আবু হাশেম জানান, তিনি ফজরের আযানের পর মসজিদে নামাজ পড়তে যান। তারপর এ চুরি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
মণিরামপুর থানার ওসি শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। চোরকে সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।