শেখ মোসলেম আহম্মেদ, কলারোয়া : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শত্রæতামূলকভাবে এক কৃষকের বাড়ীতে যাওয়ার পথ বাঁেশর কুঞ্চির বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ১নং জয়নগর ইউনিয়নের মানিকনগর গ্রামে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগি কৃষক ওই গ্রামের মৃত ইসমাইল মোল্যার ছেলে রুহল কুদ্দুস বাদি হয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাতক্ষীরা আদালতে গত ১৭ মে ফৌ: কা: বি: আইনের ১৪৫ ধারা মতে একটি পিটিশন দায়ের করেন। পিটিশনটি আমলে নিয়ে কলারোয়া কমিশনার ভুমিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে নির্দেন দেন। যার পিটিশন নং-পি-১০৫৫/২৩।
পিটিশনের বিবরণে জানা যায়, পিটিশনের বাদি উপজেলার বসন্তপুর মৌজায় মানিকনগর গ্রামে ২০ বছর ধরে ৯.৬৭শতক জমি পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে বসত বাড়ী নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। এর মধ্যে দুই শতক জমি পথ হিসেবে রাখেন বাড়ি থেকে রাস্তায় যাওয়ার জন্য। হঠাৎ শত্রæতামূলকভাবে প্রতিপক্ষ প্রতিবেশী মৃত ছলিম মোল্যার ছেলে মশিয়ার রহমান মোল্যা গত ২৫এপ্রিল রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বাড়ি থেকে রাস্তায় উঠার পথ কুঞ্চির বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়।
এতে করে ওই কৃষক পরিবারের বাড়ী থেকে বের হতে না পেরে এক পর্যায়ে বাড়ীতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিশাখা সাহা বলেন, তিনি খবর পেয়ে গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে ওই বেড়া উঠিয়ে দেন এবং তারা বলে আসেন বাড়ির পথ বন্ধ করা যাবে না। তবে গ্রাম পুলিশ চলে আসার পরে আবারও সেই বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয় মশিয়ার মোল্যা ও তার স্ত্রী।
পরে বিষয়টি নিয়ে অসহায় কৃষক রুহুল কুদ্দুস বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করেছেন। পিটিশনের বাদি রুহল কুদ্দুস জানান, আদালতে পিটিশন করার পর বিবাদীরা জানতে পেরে আমার ও আমার পরিবারবর্গকে মামলাটি তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। তাদের অব্যহত হুমকিদের তারা জীবণনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও কৃষক কুদ্দুস জানান।
এদিকে প্রতিপক্ষ মসিয়ার রহমান জানান, তিনি ক্রয়সূত্রে ওই জমির মালিক হয়ে বাড়ি তৈরী করে বিগত ৪০ বছর যাবৎ ভোগ দখল করে বসবাস করে আসছেন। গত ১০ বছর আগে কুদ্দুস তার জমির পাশে পথবিহীন বসতবাড়ি তৈরী করে বসবাস করে আসছে।
হঠাৎ গত ১৭ মে রাতে জোরপূর্বক কুদ্দুস তার জমি দিয়ে পথ তৈরী করবে বলে আগে থেকে দেওয়া বেড়া কেটে দেয় বলে মসিয়ারের অভিযোগ। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহা. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আদালতের আদেশ পেয়ে উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙখলা বজায় রাখার জন্য নোটিশ জারি করা হয়েছে।