অহিদুজ্জামান, দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটা থানার ওসি বাবুল আক্তার বিভিন্ন মৎস্য ডিপোতে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ বন্ধে অভিযান চালিয়েছেন। দেবহাটা থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ বাবুল আক্তার রবিবার ২১ মে, ২৩ ইং সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার পারুলিয়া ও গাজীরহাটসহ আশেপাশের বিভিন্ন মৎস্য সেড, অকশন সেন্টার ও রপ্তানিকারক ডিপোতে বাগদা ও গলদা চিংড়িতে পুশ বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন। সাদা সোনা খ্যাত দেবহাটায় রপ্তানীযোগ্য চিংড়িতে অবাধে অপদ্রব্য পুশ করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
গলদা ও বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশের ঘটনা যেন দিনদিন বেড়েই চলেছে। এভাবে চলতে থাকলে বিশ^ বাজারে ক্রমাগত চিংড়ির চাহিদা হারাতে বসবে। অভিযান শেষে রপ্তানি যোগ্য বাগদা গলদা চিংড়ি ব্যবসায়ীদের সাথে মত বিনিময়ে ওসি মোঃ বাবুল আক্তার বলেন, বিশ^ বাজারে সাতক্ষীরার বাগদা গলদা চিংড়ি’র ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এটি সাতক্ষীরার অন্যতম একটি ব্রান্ড। চিংড়ি রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রতি বছর ব্যাপক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। সেজন্য সাতক্ষীরা তথা বাংলাদেশের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে রপ্তানি যোগ্য চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ না করার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানান।
এলাকাবাসীর সুত্রে জানা যায়, দেবহাটা উপজেলার গাজীরহাট, পারুলিয়া, টিকেট, পুটিমারি, সুবর্ণাবাদ, কুলিয়া সহ বিভিন্ন এলাকার ক্ষুদ্র মৎস ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন বাসা বাড়িতে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করছেন।
তাছাড়া সম্প্রতি খুলনা থেকে আসা কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সাতক্ষীরার বিভিন্ন মৎস সেড থেকে বাগদা গলদা চিংড়ি কিনে তা খুলনায় নিয়ে অপদ্রব্য পুস করে সাতক্ষীরার চিংড়ির সুনাম ও চাহিদা নষ্ট করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন। দেবহাটা থানার নবাগত ওসি মোঃ বাবলু আক্তার আরোও বলেন, চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ বন্ধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে এবং প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে। তাহলে এধরনের অপদ্রব্য পুশ বন্ধ করা সম্ভব হবে।