শেখ সিদ্দিকুর রহমান : সাতক্ষীরায় অবিলম্বে দিনেশ কর্মকারে বাড়িসহ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বধ্যভ‚মি চিহ্নিত করে সংরক্ষণ করার দাবিতে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকাল ৪টায় ম্যানগ্রোভ সভা ঘরে বধ্যভূমি স্মৃতি সংরক্ষন কমিটির আহবায়ক সুভাষ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, প্রফেসর আব্দুল হামিদ, অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, বিশিষ্ট সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হেনরি সরদার, মানবাধিকারকর্মী মাধবচন্দ্র দত্ত, শিক্ষাবিদ কিশোরী মোহন সরকার, সুধাংশু শেখর সরকার, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আজাদ হোসেন বেলাল, ওসমান গণি, শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, আবুল হোসেন, স্বপন কুমার শীল, এড. খগেন্দ্র নাথ ঘোষ, অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, নিত্যনন্দ সরকার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সিদ্দিকুর রহমান, এড. সালাউদ্দিন ইকবাল লোদী, মানবাধিকারকর্মী মো: কওছার আলী।
উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ, বিশিষ্ট সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ, কবি স ম তুহিন, ডা: আলী হোসেন, আমির হোসেন খান চৌধুরী, নির্মল সরকার, রওনক বাসার, জেলা মন্দির সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ আমিন, পরিবেশ আন্দোলনের নেতা আদিত্য মল্লিক, ভ‚মিহীন নেতা আব্দুস সামাদ, কালিপদ মন্ডল, শহীদ পরিবারের সন্তান প্রফুল্ল মন্ডল, প্রশান্ত রায়, সুরেশ পাÐে, মনিরুজ্জামান মুন্না প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, বধ্যভ‚মি স্মৃতি সংরক্ষন কমিটির সদস্য সচিব এড. ফাহিমুল হক কিসলু। বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল শত শত মানুষ ভারতে যাওয়ার পথে আশ্রয় নেয়।
পরদিন সন্ধ্যায় পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা স্কুলের পিছনে দীনেশ কর্মকারের বাড়িতে গিয়ে তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করে। সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়কের বাঁকাল ব্রিজ ছিল পাক হানাদারদের আর একটি হত্যাযজ্ঞের স্থান। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাড়ুখালী-মাহমুদপুর স্কুলের পেছনের পুকুর থেকে স্বাধীনতার পর উদ্ধার করা হয় কয়েকশত মানুষের কঙ্কাল ও মাথার খুলি। সদরের ঝাউডাঙ্গায় স্বাধীনতা লাভের কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতে যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা করা হয় শত শত বাঙালি নারী, পুরুষ ও শিশু শরণার্থীকে।
তাদের গোবিন্দকাটি খালপাড় গণকবর দেওয়া হয়। শহরের সুলতানপুর পালপাড়া খালের ধারে হত্যা করা হয় সুরেন, নরেন ও কেষ্টপদ নামে তিন মুক্তিকামী যুবককে। বক্তারা উল্লেখিত স্থানগুলো চিহ্নিত করে সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে বলেন, দিন দিন বধ্যভ‚মিগুলো ভ‚মিদস্যুরা দখল করে নিচ্ছেন। দু:খজনক হলেও সত্য স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও সাতক্ষীরায় বধ্যভ‚মিগুলো চিহ্নিত করা হয়নি এবং স্মৃতি স্মারক নির্মান করা হয়নি। বক্তারা অবিলম্বে দিনেশ কর্মকারে বাড়িসহ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বধ্যভ‚মি চিহ্নিত করে সংরক্ষণ করার দাবি জানান।