শেখ বাদশা, আশাশুনি : আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের কামালকাটি-কুন্দুড়িয়া নদীতে অবৈধ্যভাবে নেটপাটা বসিয়া নদীর জোয়ার ভাটার পানি নিষ্কাশনে বাঁধা সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, কামালকাটি-কুন্দুড়িয়া নদীর ব্রীজের সম্মুখে নদীতে আড়াআড়ি ভাবে জোর পূর্বক নেট-পাটা বসিয়ে মাছ ধরার ফাঁদ পেতেছে বুধহাটা ইউপি’র মহিলা মেম্বর মমতাজ বেগম।
নিজের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তার স্বামী কাছেদ গাজী ও পাশ্ববর্তী নলিদ দাশকে দিয়ে প্রতিদিন নদীতে মাছ ধরার ফাঁদ (আটন) দিয়ে মাছ আহরণ করছেন তারা। নদীতে নেট-পাটা দেওয়ার ফলে কোন নৌকা নদীতে চলাচল করতে পারছে না। প্রতিবাদ করতে গেলে প্রতিবাদীকে মারপিটসহ মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে জানান স্থানীয়রা। কামালকাটি-কুন্দুড়িয়া নদীর ব্রীজের সম্মুখে এভাবেই গায়ের জোরে চলছে নদী দখলের মহাউৎসব।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মমতাজ বেগম বলেন, নেটপাটা নয়, জাল দেওয়া আছে। আমরা মাছ করার জন্য সন্ধ্যার পর নেটপাটা ও মাছ ধরার আটন বসিয়ে মাছ ধরি। তবে সকালেই আবার সব তুলে রাখি। মাছ ধরার জন্য সরকারি ভাবে কোন অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে মমতাজ বেগম বলেন, এখনও এধরণের কোন অনুমতি আমরা পাইনি। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপা রানী সরকার বলেন, বিষয়টি আমার জানাছিলো না। তবে এভাবে কেউ নদীতে নেটপাটা দিতে পারেন না। অতিদ্রæত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।