সুব্রত কুমার গোলদার (খাজরা) আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনির খাজরার পল্লীতে ঋষি সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠেছে। সুবিচার পেতে ভুক্তভোগী আশাশুনি থানায় লিখিত একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।
রবিবার(৪ জুন) সকালে খাজরা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের দূর্গাপুর গ্রামের ঋষি পল্লীতে গিয়ে দেখা যায়, খাজরা ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে বিক্রির উদ্দেশ্যে কেটে রাখা হয়েছে সিরিজ ও মেহগনি গাছ। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, দূর্গাপুর মৌজায় ১৭১ ও ১৭২ দাগে বড়দল গ্রামের অমেলা মাখালের স্বামী মারকুজ মাখালসহ ৭জন মিলে জমি ক্রয় করে। মারকুজ মাখাল দুই দাগে ৪৯ শতক জমি আছে।
ভুক্তভোগী অমেলা মাখাল বলেন,মৃত কার্ত্তিক দাস আমার আপন ভাই। আমার স্বামী আমার ভাইদের সাথে এখানে জমি কিনেছে। আমার ভাইয়ের মৃত্যুর পর তার ছেলে নব মুসলিম আব্দুর রহমান ওরফে সাধন দাশ আমার অংশের গাছ আমাকে না জানিয়ে অন্যত্র বিক্রি করে দিয়েছে। আমি লোকমুখে শুনে আমার স্বামীর অংশের গাছ ফিরে পেতে থানায় অভিয়োগ দিয়েছি। বর্তমানে আমার স্বামী খুবই অসুস্থ্য আমি আশাশুনি থানা পুলিশের কাছে ন্যায় বিচার চাই। এবিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুর রহমান ওরফের সাধন দাশের বোন জানান, আমার পিসিমা জমি পাবে সঠিক। কিন্তু গাছ গুলো আমার মৃত পিতার নিজে লাগিয়েছিল বলে আমরা গাছ গুলো কেটেছি। তিনি আরও বলেন, ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রবিউল ইসলামের মাধ্যমে গাছ কাটার সংবাদ আমরা তাদেরকে পাঠিয়েছিলাম। এদিকে, অভিযুক্ত নব মুসলিম আব্দুর রহমান ওরফে সাধন দাশের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা হযরত সরদার বলেন,সাধন দাশ নব মুসলিম পরিচয় দিয়ে আশপাশের এলাকায় বিভিন্নভাবে চাঁদাবাজি করছে। যার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি পাইকগাছা থানায় সাধারন ডায়েরী নং ১০৮০ ও সাতক্ষীরা ম্যাজিট্রেট কোর্টে সিআর ২৫৬/২৩ নং দুটি মামলা চলমান আছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি জানান,আব্দুর রহমান ওরফে সাধন দাশ নব মুসলিম হওয়ার পর থেকে ব্যাপক বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। ইতিমধ্যে তার আপন শরিকের মধ্যে সাতক্ষীরা কোর্টে মিথ্যা মামলা দিয়ে পুরুষ শূন্য করে ফেলেছে।