ধুলিহর প্রতিনিধি : সরকারি অনুমোদন না থাকলেও ৮নং ধুলিহর ইউনিয়নের হাজীখালি বিলে চলছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। স্থানীয় একটি বিশেষ মহল প্রশাসনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে পরিবেশ বিরোধী এই অপকর্ম চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও স্থানীয় চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ইয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিয়ে কোন কথা বলতে নারাজ।
এলাকাবাসী জানান, ভালুকা চাঁদপুর ও কোমরপুরের হাজীখালি বিলের আবাদি জমির প্রাণ হাজীখালি খালে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে খালের দু’ধারে জমিতে ধ্বস নেমেছে। দু’পাশে জমির মালিকরা চেয়ারম্যানের সাথে কথা বললেও হয়নি কোন সুরহা, বন্ধ হয়নি বালু উত্তোলন। দীর্ঘদিন দখলে থাকা সরকারি খাস জমিতে মুজিব বর্ষের উপহার গৃহ হীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ করা হবে এই ¯েøাগান দিয়ে বালি উত্তোলন করছে ঠিকাদার। মাটিয়াডাঙ্গা নিবাসী ড্রেজার মেশিন মালিক আসমাতুল্লাহর সাথে কথা বললে তিনি জানান, চেয়ারম্যান ও পিআইও স্যার তাকে নিয়ে এসেছেন এবং এই জায়গাটাতে নতুন গ্রাম হবে “মুজিব নগর”।
স্থানীয়রা এক্ষেত্রে নির্বাক দর্শক। ক্ষতিগ্রস্ত দু’পাশের জমির মালিক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি বলেন, প্রতি বর্গফুট জমি ভরাট করার জন্য সরকারের বরাদ্দ ১৮টাকা। অথচ সরকারের এই বরাদ্দ লুটেপুটে খাওয়ার জন্য প্রতি বর্গফুট জমি ৭৫ পয়সা চুক্তিতে ড্রেজারার মেশিন দিয়ে বালু ভরাট করছে। তারা জানান, বর্তমান সরকার যেখানে আবাদি জমি রক্ষার্থে বদ্ধপরিকর, সেখানে এই ধ্বংসত্মাক দুর্নীতি কেনো? আবাদি জমি রক্ষার্থে এবং অত্র এলাকাকে অদূর ভবিষ্যতে বড় ধরনের বিপদ থেকে শংকামুক্ত করতঃ অনতিবিলম্বে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।