আলতাফ হোসেন বাবু : প্রচন্ড তাপদাহের পরে স্বস্তির বৃষ্টি নামলো সাতক্ষীরায়। বিগত বেশ কিছু দিন যাবত প্রচন্ড তাপদাহে ও লোডশেডিং এর কারনে জন জীবনে দূর্বিসহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে হঠাৎ সাতক্ষীরার আকাশে মেঘ জমে এবং শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া। তার পরেই শুরু হয় স্বস্তির বৃষ্টি। টানা দুই ঘন্টার অবিরাম বৃষ্টিতে স্বস্তির আভাস বিস্তার করে বিভিন্ন এলাকায়।
বৃষ্টির পানিতে ভিজতে দেখা যায় শিশু-কিশোর ও বিভিন্ন বয়সের মানুষদের। বৃষ্টির আকাংখায় থাকা সাধারণ মানুষ যেনো নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে। এদিকে বৃষ্টি নামার সাথে সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখা যায় বৃষ্টি নিয়ে নানান স্টাটাস। আবার বৃষ্টির ভিডিও ছাড়েন অনেকে।
ফেসবুক ব্যবহারকারী সাতক্ষীরা শহীদুল ইসলাম লেখেন-সেই তো এলে বৃষ্টি, কিন্তু বড় অবেলায়, জীবক‚লকে নাকাল করে অবশেষ তুমি এলে প্রশান্তির ছোঁয়ায়। জানি, তুমি আসনি থাকতে, তুমি এসেছো দেখতে। তোমার দেখতে অসুবিধে হচ্ছে তাই, মেঝদি বিজলি বারেবারে চমকায়। তুমি বজ্রকে আনো কেন? জানো বৃষ্টি, তোমাকে জীবক‚লের সবাই ভালোবাসে। কিন্তু ওই বজ্র আমাদের প্রাণ কেড়ে নেয়। তাই সবাই বজ্রকে ভয় পায়। তোমার বড়দি বর্ষা আসবে ক’দিন পরে, তাই তোমার আগাম আগমনে- শুভেচ্ছা স্বাগতম।
শেখ ইসতিয়াক আহমেদ- লেখেন আলহামদুলিল্লাহ রহমতের বৃষ্টি হচ্ছে সাতক্ষীরাতে। কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন -লেখেন অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি। ছড়াকার নাজমুল হাসান-লেখেন অবশেষে সাতক্ষীরায় বৃষ্টি এলো, জীবনে স্বস্তি দিলো।
স্বাধীন মত নামের ফেসবুক আইডিতে লেখা হয়েছে সাতক্ষীরা জেলায় বিকেল পাঁচটায় ভীষণ তাপদহের মধ্যে, হঠাৎ সবাই কে হাসিয়ে ভাসিয়ে দিয়ে গেলো বৃষ্টি। শীতল বাতাস জনমনে স্বস্তি।
এদিকে, দৈনিক সাতক্ষীরার সকাল পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক শেখ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, প্রায় এক মাস মানুষ বৃষ্টির ছোয়া পেতে চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় ছিলো। আজ সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বৃষ্টির দেখা মিললো।
##