সকাল রিপোর্ট: সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের স্টাফ ফয়সাল ফারাবীর অত্যাচারে অতীষ্ঠ সর্বসাধারণ। হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীরাও এই ফয়সাল নিয়ে বেশ বেকায়দায় রয়েছেন। ফয়সাল ফারাবির আচার-আচরণ নাকি মাদকাসক্তের মতো। উন্মাদ প্রকৃতির স্টাফ যখন-তখন কোন কারণ ছাড়াই মাথা গরম করে টেবিল চেয়ারে লাথি মারে।
কথনও কখনও ফাইল পত্র ছুড়ে ফেলে দেয়। আবার কখনও কখনও রোগি ও তাদের স্বজনদের গালিগালাজ করে। সিভিল সার্জনের কাছে অভিযোগ করার কথা শুনলে ফয়সাল ফারাবি বলতে থাকে ‘সিভিল সার্জন আমার …(প্রকাশ অনুপযোগি শব্দ) ছেড়ার ক্ষমতা রাখে না। বিশ্বাস না হয় অভিযোগ করে দেখেন!’ এমনই ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করতে দেখা গেছে রবিবার দুপুরের পরে সাড়ে ৩টার দিকে। হাসপাতালে জরুরী বিভাগে এক রোগির কাছে তাৎক্ষণিক জাতীয় পরিচয় পত্র চাইলে ওই রোগির স্বজনরা বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র তো আনা হয়নি। দূরে বাড়ি।
আনতে একটু দেরি হবে।’ এ কথা শোনার সাথে সাথে হাসপাতালের স্টাফ ফয়সাল ফারাবি রোগি ভর্তির রেজিস্টার ছুড়ে ফেলে দিয়ে বলতে থাকে আগে এনআইডি কার্ড তারপর ভর্তি।’ এসময় মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত ওই মহিলা রোগি হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কক্ষে ছটফট করছিল।
বিষয়টি দেখতে পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা প্রতিবাদ জানায়। এসময় সিভিল সার্জনকে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। হাসপাতালের স্টাফ ফয়সাল ফারাবি এসময় বলতে থাকে, সিএস-কে ফোন দেন, দেখি উনি আমার কী করতে পারে?’ এদিকে হাসপাতালের একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী জানান, এই ফয়সাল ফারাবিকে নিয়ে বড় জ্বালায় আছি। নেশাখোরের মতো আচরণ করে গোটা হাসাপাতালের পরিবেশকে বিষিয়ে তুলেছে সে।
কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, ২০২১ সালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে এসএন সিনিয়র স্টাফ পদে নিয়োগ পায় ফয়সাল ফারাবী। হাসপাতালে ভর্তি পৃথক অন্য রোগির স্বজনরা জানান, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্মরত এসএন সিনিয়র স্টাফ ফয়সাল ফারাবী গত কয়েকদিন আগে আমার রোগী জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিতে যাই।
এসময় ফয়সাল নামের ওই স্টাফ দায়িত্ব কর্তব্য পালনরত অবস্থায় হিংস্রভাবে চড়াও হয়ে সরকারি টেবিলে লাথি মেরে ভাংচুরের চেষ্টা করে এবং রোগী-স্টাফদের সাথে উচ্চস্ব গালিগালাজ করে। এর আগেও জরুরী বিভাগে ওই সিনিয়র স্টাফ ফয়সাল ফারাবী প্রায় সময় রোগী ও স্বজনদেরসহ স্টাফদের উপর চড়াও হয়ে জরুরী বিভাগের আসবাবপত্র লাথি মেরে ভাংচুর করা চেষ্টা করে এবং পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, সাধারণ রোগী ও তাদের স্বজনদের সাথে চরম দুর্ব্যবহার করে বলে একাধিক ব্যক্তি জানান।
স্থানীয় একজন সিভিল সার্জনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ক’দিন একই ধরণের অভিযোগ করা হয় সিভিল সার্জনের কাছে। সিভিল সার্জন সব কিছু শুনে বুঝে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলেও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ফয়সাল ফারাবি। ভুক্তভোগিদের প্রশ্ন-সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সিএস কী ফয়সাল নাকি সবিজুর? তারা অবিলম্বে মানসিক ভারসাম্যহীন এই স্টাফের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছে।