সকাল রিপোর্ট: যৌতুকের দাবিকৃত টাকা না পেয়ে স্ত্রী ও শাশুড়িকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের বড়দল গ্রামের কাজল হোসেন (৩৩) নামের এক ব্যক্তি ও তার পিতা আব্দুল আজিজ সরদারের বিরুদ্ধে। এঘটনায় নির্যাতীতা রাজিয়া খাতুন (২৮) এর ভাই এবং সাবিরন নেছার ছেলে মো. ইসরাফিল হোসেন (২৭) সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ করেছেন। রবিবার (১১ জুন) দুপুর ২টার দিকে কাজল হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে জানা গেছে, বড়দল গ্রামের মো. আনারুল ইসলামের মেয়ে রাজিয়া খাতুনের সাথে ২০১২ সালে বিয়ে হয় একই গ্রামের আজিজ সরদারের ছেলে কাজল হোসেনের। বিয়ের পর নানা অজুহাতে কাজল হোসেন তার স্ত্রীকে চাপে ফেলে ৫/৬ লক্ষ টাকা যৌতুক নেয়। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে আনারুল ইসলাম জামাইয়ের দাবি পূরণ করে আসছেন।
ইতোমধ্যে তাদের সংসারে দুটি সন্তানের জন্ম হয়। এদিকে রবিবার দুপুরে কাজল হোসেন ও তার পিতা আব্দুল আজিজ সরদার পুনরায় দেড় লক্ষ টাকা আনার জন্য চাপ দেয়। এতে রাজিয়া খাতুন রাজি না হওয়ায় কাজল ও তার পিতা আব্দুল আজিজ অমানুষিকভাবে নির্যাতন চালায়। নির্যাতনের এক পর্যায়ে রাজিয়া খাতুন অসুস্থ হয়ে পড়লে কাজল হোসেন তার শ্বশুর বাড়িতে খবর দেয়।
মেয়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে রাজিয়া খাতুনের মা সাবিরন নেছা জামাইয়ের বাড়িতে যাওয়া মাত্রই কাজল ও তার ভাই ফিরোজ এবং পিতা আব্দুল আজিজ হত্যার উদ্দেশ্যে সাবিরন নেছাকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীয়রা আহত মা-মেয়েকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই হাসানুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনা সত্য বলে প্রতীয়মান হয়েছে। বিষয়টি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।