সুব্রত কুমার গোলদার (খাজরা) আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার খাজরায় দিন দিন ছোট পুকুরে প্রান্তিক পর্যায়ে বাণিজ্যিক ভাবে শোল মাছ চাষে আগ্রহ বাড়ছে মাছ চাষিদের। পর্যায়ক্রমে আরও শোল মাছ চাষে অনেকেই এগিয়ে আসবে বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার ( ১৩ জুন) বিকালে প্রান্তিক কয়েকজন মাছ চাষির পুকুর পরিদর্শন করে জানা যায়, এক বছর আগে দূর্গাপুর গ্রামের বকুল নামে এক ব্যক্তি তার পুকুরে পরীক্ষামূলক ভাবে শোল মাছের চাষ করেন। বছর শেষে শোল মাছের উদপাদন ও ভাল দামে বিক্রয় করে লাভবান হওয়ায় তার দেখাদেখিতে গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের নকুল গোলদারের পুত্র অসিত গোলদার, মৃত যাদব গোলদারের পুত্র বিজন গোলদার, অর্জুন গোলদার, তারক চন্দ্র মন্ডল ছোট ছোট পুকুরে বাণিজ্যিক ভাবে শোল মাছে চাষ করেছেন।
বর্তমানে তাদের পুকুরে ছাড়া শোল মাছের পোনার বয়স ২০ থেকে ২৫ দিন বয়স হয়েছে। মাছের গ্রোথ মোটামুটি ভাল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কোনরকম প্রশিক্ষণ ছাড়াই তারা এ কার্যক্রম শুরু করেছেন।
এবিষয়ে শোল মাছ চাষি বিজন গোলদার জানান, আমি এবারই প্রথম শোল মাছের চাষ করছি। আমার ১০শতক পুকুরে ৩হাজার শোল মাছের রেনু পোনা ছেড়েছি। মাছের বয়স ১ মাসের বেশি হয়েছে। এ দিকে অসিত গোলদার জানান,বাড়ির পাশে পুকুরে আমি ১হাজার শোল মাছের পোনা ছেড়েছি। মাছ ভাল হবে আশা করছি।
মাছ চাষিদের কাছ থেকে আরও জানা যায়, কোন রকম প্রশিক্ষণ ছাড়াই তারা অন্যর দেখাদেখিতে এ মাছ চাষ শুরু করেছেন। বর্তমানে তারা শোল মাছের খাবার হিসেবে ভাতি চিংড়ি,কুচে তেলাপেয়া মাছ ব্যবহার করছেন। তাদের হিসাব মতে প্রতি হাজার শোল মাছ চাষে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় ৫০হাজার টাকার মতো খরচ হবে। এবং মাছ ভাল হলে লক্ষাধিক টাকা কেনা বেচা হবে। প্রান্তিক এ চাষিরা মৎস্য অফিসের পরামর্শ বা প্রশিক্ষণ নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।