কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা এলাকার বাগবাটি দাখিল মাদ্রাসায় ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে আসছিল এলাকার কয়েকজন বখাটে যুবক। ছাত্রী উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় ১১ জুন রবিবার সকালে মাদ্রাসার সিনিয়র সহকারী শিক্ষক জিয়ারুল ইসলাম’র সাথে স্থানীয় বখাটে যুবকদের সাথে তর্কবিতর্ক হয়।
তর্কবিতর্কের এক পর্যায় বখাটে যুবকেরা উচ্চস্বরে গালিগালাজ এবং হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। বখাটে যুবকেরা বলতে থাকে কয়েকদিনের মধ্যে মাদ্রাসায় একটি ব্যবস্থা করব। এরই ধারাবাহিকতার জের ধরে ১৩ জুন (মঙ্গলবার) সকালে উক্ত মাদ্রাসায় সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুতের মিটার ভাঙচুর করা হয়েছে এবং প্রত্যেকটি শ্রেণিকক্ষের চেয়ার ও বেঞ্চে গোবর ঢেলে দিয়েছে। পরীক্ষার রুটিন সহ অফিসের তালা গুলোতেও গোবর দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার অনুপযোগী করে তুলেছে তারা।
অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং এলাকাবাসীর ধারণা ঐ বখাটে যুবকেরাই এ ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় ১৩জুন মঙ্গলবার মাদ্রাসার পক্ষ থেকে কালিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করা করেছেন। স্থানীয়রা বলেন, দীর্ঘদিন এই মাদ্রাসায় এমন ঘটনা ঘটছে, বখাটে যুবকেরা সকল সময় মাদ্রাসার মেয়েদের উত্যক্ত করতো।
অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আঃ রহিম জানান, বাগবাটি এলাকার মোঃ বাবুলের ছেলে আল মামুন মাদ্রাসার প্রাক্তন শিক্ষার্থী, সে মাদ্রাসায় মেয়েদের অযথা বিরক্ত করে। আমরা তাকে বেশ কয়েকদিন নিষেধ করেছি, তারপরও আমাদের কোন কথাই শোনে না। আমাদের একজন শিক্ষকের সাথে তর্কবির্তক করার একদিন পর এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মনে করছি।
এ ব্যাপারে ০৮ নং ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ নাজমুল ইসলাম নাঈম বলেন, আমি কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। যেখানে একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি ইসলামী জ্ঞানের প্রসারতা ঘটানো হয়, সেখানে এমন নেক্কার জনক ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। অবশ্যই এই ঘটনার সত্যতা উদঘাটন করা হবে। তার জন্য আমরা প্রসাশনের পাশাপাশি এলাকাবাসীর সহযোগীতা চাই। অবশেষে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে সহকারী প্রধান শিক্ষক আঃ হান্নান মাদ্রাসা পরিদর্শন করে, পরীক্ষা নেওয়ার জন্য শ্রেণী কক্ষ গুলো অনুপযোগী দেখেন এবং উক্ত ঘটনার প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন ও পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষনা দেন।