বুধবার , ২১ জুন ২০২৩ | ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আশাশুনি
  4. কলারোয়া
  5. কালিগঞ্জ
  6. কৃষি
  7. খুলনা
  8. খেলা
  9. তালা
  10. দেবহাটা
  11. বিনোদন
  12. যশোর
  13. শিক্ষা
  14. শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  15. শ্যামনগর

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামারপাড়ার শিল্পীরা

প্রতিবেদক
satkhirar sakal
জুন ২১, ২০২৩ ১১:৩১ অপরাহ্ণ

জি এম ফিরোজ উদ্দিন, মণিরামপুর প্রতিনিধি : কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে হাতুড়ির টুং টাং শব্দে মুখরিত হয় ওঠেছে মনোহরপুরের কামারপাড়া। চললে হাঁপর, পুড়ছে কয়লা, জ্বলছে লোহা। কর্মব্যস্ত সময় পার করছে কামার শিল্পীরা। সারাদিন তপ্ত লোহা ও ইস্পাত গলিয়ে চলছে, দা, চাপাতি, বটি, ছুরি তৈরির কাজ। দম ফেলারও সময় নেই তাদের। নাওয়া-খাওয়া সময় মত করতে পারছেনা তারা।

কাঁকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে তাদের কর্মকাÐ। মূল কারিগরের সাথে একজন ভারি হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছেন আগুনরাঙ্গা লোহার দÐ। কেউ পোড়া দা ও ছুরিতে দিচ্ছেন শান। ম্যাশিনের সাহায্যে কেউবা হাঁপর টেনে বাতাস দিচ্ছেন। দিন-রাত সমান তালে লোহার টুং-টাং শব্দ আর হাফরের ফুঁসফাঁস শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে উপজেলার প্রতিটি কামারশালা। হারিয়ে যেতে বসা বাংলার প্রাচীন কামারশিল্প যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। আর মাত্র কয়েক দিন পর ঈদুল-আযহা।

উপজেলার মনোহরপুর,কুমারঘাটা বাজার, কপালিয়া ববাজার,এ দদাশের হহাট বাজার সহ বিভিন্ন হাট বাজার এবং কামার বাড়িতে কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে পশু জবাইয়ের ছোরা, চাপাতি, চাকু, দা, বটি, কুড়ালসহ বিভিন্ন সরজ্ঞাম তৈরি করছে কামাররা। সারা বছর টুক-টাক কাজ থাকলেও কুরবানির ঈদের সময় কামার শিল্প মুখরিত হয়ে ওঠে। কামারের দোকানে দুই তিনজন কারিগর কাজ করছে। কামার শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ সময় দোকানে পুরাতন ও নতুন ধারালো অস্ত্র বানানো ও মেরামত করার ভিড় শুরু হয়। ঈদের আগের দিন র্পযন্ত এই ব্যস্ততা থাকে। বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে কামার শিল্পে।

বৈদ্যুতিক সান দিয়ে বিভিন্ন সরঞ্জাম সান দেয়া হয় ও হাফর বা জাতা দিয়ে বাতাস দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে মোটর । উপেজেলার এনায়েতপুর গ্রামের দিলিপ কর্মকার, হারাধনকর্মকার, উজ্জাল ও শংকার জনান, কোরবানি ঈদে তারা প্রতিবছর দা, ছুরি, চাপাতিসহ কোরবানি বিভিন্ন উপকরণ তৈরি করেন। মনোহরপুর বাজারে অবস্থিত কামারশালার শিল্পী শংকার র্কমকার ও কর্মকার বলেন, লোহা ও কয়লার দাম বেড়ে গেছে। সাধারণ লোহা ৫০ টাকা থেকে ৭০ টাকা ও গাড়ির পাতি ৮০ টাকা দরে প্রতি কেজি ক্রয় করতে হয়।

পশু জবাই করার ছোট-বড় বিভিন্ন সরজ্ঞাম সাইজের উপর দাম নির্ভর করে। তারা আরো বলেন, অর্ডার দিয়ে তৈরি করা নতুন চাপাতি তৈরির মজুরি ৫শ’ টাকা থেকে ৭শ’ টাকা, জবাই করা ছোরা ৩শ’ টাকা। আর তৈরি করা ছোট চাপাতি ৫শ’ টাকা, বড় চাপাতি ৭শ’ থেকে ৮শ’, বড় ছোরা ৩শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ টাকা, চাকু ৫০ টাকা থেকে দেড়শ টাকা, বটি আড়াইশ’ থেকে ৩শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছেঅমল জানান, এই পেশায় আমরা খুব অবহেলিত। বর্তমান দ্রব্যমূল্য বেশি হলেও সেই অনুযায়ী দাম পাই না। ফলে সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হয়।

সারা বছর তেমন কাজ না থাকায় অনেকেই বাধ্য হয়ে পৈতৃক এই পেশা পরিবর্তন করছে বলে জানা গেছে। উপজেলার বিভিন্ন কামারের দোকান ঘুরে দেখা যায়, দা, ছুরি, চাপাতি, চাকু ও বটির বেচাকেনা বেড়েছে। মনোহরপর বাজারে পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কিনতে আসা রফিকুল, ইসলাম, জাহাঙ্গীর, ফারুক সহ কয়েকজন ক্রেতা জানান, অন্য বছরের চেয়ে এবার ছুরি, চাকু, বটির দাম একটু বেশি বলে জানান তারা।

কোরবানি ঈদের কয়েক দিন বাকি। তাই আগেই পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কেনার জন্য এসেছি। লোহা ও কয়লার দাম অনেক বেড়েছে। সে তুলনায় কামার শিল্পের উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়েনি। তাদের আশা, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ শিল্প আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। এলাকায় কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পল্লীতে টুং টাং শব্দ চলছে। দা, বটি, ছুরিসহ গৃহস্থালী নানা সরঞ্জাম বানাতে ব্যস্ত কর্মকাররা।

এছাড়া এ সময় সব পরিবারের দা, বটি, হাসুয়া, ছুরি ধার করার প্রয়োজনীয়তাও তৈরি হয়। এ সব কাজে এখন রাতদিন ব্যস্ত হয়েছেন কর্মকাররা। গ্রামীণ প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী কামার শিল্প নানা সংকটে আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব,কারিগরদের মজুরি বৃদ্ধি, তৈরি পণ্যসামগ্রীর বিক্রয় মূল্য কম, কয়লার মূল্য বৃদ্ধিসহ নানা সমস্য রয়েছে এর সাথে জড়িতদের।

অনেকেই পেশা ছেড়ে অন্যকোনো পেশায় জীবন যাপন করছেন। তারপরও বছরের এই সময় ব্যস্ততা বাড়ে পেশায় যারা এখনো টিকে আছেন তাদের। এক সময়ের সমৃদ্ধ এলাকার কামার শিল্প প্রায় বিলুপ্তির পথে। তবে বছরে ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বাড়ে-বাড়ে আর্থিক সক্ষমতা। বেচাকেনাও ভালো হয়। কামার শিল্পীদের কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এখন দম ফেলারও সময় নেই। সারা কামারপাড়ায় অস্ত্রপাতি গৃহস্থালী, লোহার দ্রব্য তৈরিতে টুং টাং আওয়াজ চলছে। এখান থেকে তৈরি ছুরি, কাঁচি, দা, বটি, কুড়াল বিভিন্ন হাটবাজারের বিক্রি হয় কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে বেড়েছে বেচাবিক্রি।

এভাবেও তাদের সংসারে আয় বেড়ে যায়, একটু স্বাচ্ছন্দ্যে চলে কিছু দিন। কামার শিল্পি সুব্রত কর্মকার ও তার ভাই বলেন,এক সময় কামারদের যে কদর ছিল বর্তমানে তা আর নেই। মেশিনের সাহায্যে বর্তমানে আধুনিক যন্ত্রপাতি তৈরি হচ্ছে ফলে আমাদের তৈরি যন্ত্রপাতির প্রতি মানুষ আকর্ষণ হারাচ্ছে। হয়তোবা এক সময় এই পেশা আর থাকবে না। তবে কুরবানির ঈদের সময় আমরা, একটু আশাবাদী হই।

আগে দেখতাম সারা বছর আমার বাপ দাদারা এই কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতো। কিন্তু এখন সারা বছর তেমন কোনো কাজ না থাকলেও কোরবানির সময় আমাদের কাজের চাহিদা বেড়ে যায়। মনোহরপুর বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় এখনও প্রায় শতাধিক কামার পরিবার খেয়ে না খেয়ে পৈত্রিক পেশা ধরে রেখেছে। সারা বছর অলস সময় পার করলেও কোরবানীর ঈদ আসলেই অধিক শ্রম দিয়ে বেশি আয়ের স্বপ্ন দেখে কামার পরিবারগুলো। কিন্তু কয়লা ও লোহার দাম বেশি হওয়ায় সেই স্বপ্ন ভেস্তে যেতে বসেছে। তাপরও যারা এখনো এই পেশায় রয়েছেন, তারা স্বপ্ন দেখেন। তাদের মতে মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা যতদিন থাকবে ততদিন এর প্রয়োজনীয়তা ও পেশা থাকবে। সেই আশায় তারা এখনো পেশাটাকে ধরে রেখেছেন।

সর্বশেষ - সাতক্ষীরা সদর

আপনার জন্য নির্বাচিত

কালিগঞ্জের দক্ষিণ শ্রীপুরে তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ শীর্ষক কর্মশালা

আশাশুনির কালকী স্লুইস গেট সংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেয়া হবে : মুহাদ্দিস রবিউল বাশার

খুলনা মহানগর যুবলীগের সভাপতি পলাশ, সম্পাদক সুজন

পুলিশ ও মানবাধিকার কর্মীর সহযোগিতায় পরিবার নিয়ে নিরাপদে নিজ এলাকায় ফিরলেন এনামুল হক

আশাশুনির খাজরা ইউনিয়ন বিএনপি’র ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন

শ্যামনগরে মহিলা ফুটবল ম্যাচ উদ্বোধন করলেন এমপি জগলুল হায়দার

জরায়ুমুখে ক্যানসার রোধে সাতক্ষীরায় ৯৪ হাজার কিশোরীকে দেওয়া হবে এইচপিভি টিকা

আশাশুনিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গৃহবধূর মৃত্যু

দেবহাটা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা

সাতক্ষীরা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদে শফিকুল আলম বাবুকে দেখতে চায় মাঠ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ