সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতির সাথে জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় পৌর মেয়রের কক্ষে জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও দৃষ্টিপাত সম্পাদক জিএম নূর ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সহ সভাপতি অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, আব্দুর রব ওয়ার্ছি, ফারহা দিবা খান সাথী, সাধারন সম্পাদক মশিউর রহমান বাবু, যুগ্ম সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সুজন, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান রাসেল, প্রচার সম্পাদক আশরাফুল করিম ধনি, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আলি সিদ্দিকী, পর্যটন বিষয়ক সম্পাদক নূরুল হক, রসূলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মো: শফিউদ্দীন প্রমুখ।
নেতবৃন্দরা বলেন, পৌরসভায় পানির বিল বৃদ্ধি করা, পানি না পাওয়া, সংযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে বিল দিতে হচ্ছে, ট্যাক্স বৃদ্ধি করা হয়েছে, ট্রেড লাইসেন্স অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে, বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়া, পৌরসভার রাস্তায় কোড নং বসানোর ব্যবস্থা করা, ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা, পাসপোর্ট অফিসের সামনের রাস্তা যানজট মুক্ত রাখা, সার্কিট হাউজের রাস্তায় স্পীড ব্রেকার দেওয়া, কামালনগর থেকে বকচরা রাস্তা প্রশস্ত করা, ওয়ার্ড ভিত্তিক ডীপ টিউবওয়েল বসানোর ব্যবস্থা করা, পৌরসভার দোকানের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে, বড় বাজার থেকে মাছ বাজার ও মাংসের বাজার স্থানান্তর করা। পৌরমেয়র তাসকিন আহমেদ জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দের কথাগুলো শোনেন।
এরপর তিনি বলেন, প্রাণ সায়ের খাল সাতক্ষীরার প্রাণ, প্রাণ সায়ের খালকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। স্বাধীন ভাবে কাজ করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ব্যাপার। শতভাগ কাঙ্খিত কাজ করতে পারছিনা। ট্রেড লাইসেন্স কোন আইনে বৃদ্ধি করা হয়েছে সেটা অবশ্যই দেখব। সরকারী ফিস ছাড়া বাড়তি টাকা দিবেন না। হয়রানি বন্ধের ব্যবস্থা নিব। কোন ব্যক্তি হয়রানির স্বীকার হলে পৌর মেয়র বরাবর প্রমান দিয়ে লিখিত দরখাস্ত দিবেন। আমরা পানির বিলের কমানোর ব্যবস্থার পাশাপাশি বর্ধিত ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব। কোন প্রক্রিয়ায় পানির বিল বাড়ানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে বসে সমাধান করব। আপনাদের কাছে অনুরোধ আপনারা সংগঠনকে সক্রিয় রাখবেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি