এএফএম মাসুদ হাসান : আষাঢ়ের শুরুতেই ছাতা বিক্রেতা ও কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে। ঋতু পরিক্রমায় এখন চলছে আষাঢ় মাস। ক’দিনের অবিরাম বৃষ্টিতে নতুন ছাতার কদরসহ পুরাতন ছাতা মেরামত কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে বহুগুণ। রোদ-বৃষ্টির খেলায় বাজারে বেড়েছে ছাতার বিকিকিনি। আর চাহিদার ওপর বেড়েছে কারিগরদের ব্যস্ততা। কার ছাতা কে আগে মেরামত করে নেবেন তার জন্য শুরু হয় প্রতিযোগিতা।
শ্যামনগর উপজেলায় বেশ কিছু ছাতা তৈরির কারিগর রয়েছে। যারা অন্যের দোকানের সামনে বসে সারাবছর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। মঙ্গলবার (২৭ জুন) শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর বাজার ঘুরে দেখা যায় ছাতা মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ছাতা কারিগরেরা। ছাতা কারিগর আব্দুল সামাদ জানান, বর্তমানে প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় ছাতার কাপড়, হাতল, স্প্রিং প্রভৃতি জিনিসপত্র কিনতে হচ্ছে চড়া দামে।
সরবরাহ রয়েছে অনেক কম। কারিগরেরা বলেন, সারা বছর ধরতে গেলে তাদের বসেই থাকতে হয়। খুব একটা কাজ থাকেনা। তবে এই সময়টাতে তাদের কাজের চাপ বেড়ে যায় বহুগুণ।
নূরনগর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রাম থেকে ছাতা মেরামত করাতে আসা মোঃ আনারুল হোসেন বলেন, চারটি ছাতা নষ্ট হয়ে ঘরে পড়েছিল। বৃষ্টির সময় ছাতার দরকার হয় তাই সারাতে এসেছি। ছাতার কারিগরেরা প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত আয় করেন। কারিগরেরা হাতের সুনিপুণ কাজে সারিয়ে তোলেন ছাতার সমস্যা। আর বিনিময়ে পাওয়া অর্থ দিয়ে চালান সংসার।