কপিলমনি প্রতিনিধ : মুঠোফোনে অশ্লীল ভিডিও প্রকাশের দায়ে সাময়িক বহিষ্কারের জবাব দিয়েছেন পাইকগাছা উপজেলার লতা ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস। গত ২জুলাই খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস জবাবে লিখেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভাইরাল অশ্লীল ভিডিও যুক্ত হয়ে এক নারীর সাথে হস্তমৈথুন করেছেন বলে স্বীকার করে বলেন, মেডিকেল সাইন্স এর কথা উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ৭৫ ভাগ পুরুষ ও ৪২ভাগ নারী কোন না কোনভাবে হস্তমৈথুন করে। এটা মানব জীবনের অংশবিশেষ বলে উল্লেখ করে লেখেন, এটা কোন বেআইনিও অনৈতিক কর্মকাÐের মধ্যে পড়ে না।
এটা একটা প্রাকৃতিক কর্মকান্ডের অন্তর্ভুক্ত। জবাবে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ দন্ডবিধির ১৪ অধ্যায়ের ২৯৪ধারায় অনৈতিক অশ্লীলতার কোন বর্ণনা নেই। তিনি আরো বলেছেন, কতিপয় নষ্ট চরিত্রের মানুষ ও আমার শত্রæরা অতি গোপনে ছবি তুলে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়ে অপরাধ করেছে। ফলে তার সম্মান ও সুখ্যাতি নষ্ট হয়েছে বলে ইউপি চেয়ারম্যান কাজল দাবি করেন।
সর্বশেষে তিনি এই ধরনের কর্মকান্ডের জন্য, তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন বলেন। ভবিষ্যতে আমার দ্বারা এ ধরনের কর্মকাÐ সংগঠিত হবে না। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি আরো সচেতন ও সতর্কতার সহিত চলবো। আরো উল্লেখ করে লেখেন, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ আইনের) ২০০৯এর (৩৪)৪(খ)(ঘ)এ বর্ণিত অপরাধসমূহ কতটুকু যুক্তিযুক্ত তাহা বিবেচনার জন্য আপনাদের উপর রইল।
এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস তার সাময়িক বহিষ্কার প্রত্যাহারের দাবি জানান। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস এই প্রতিবেদককে জানান, আমাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে সময় দিয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে। আমি জবাব দিয়েছি। এদিকে স¤প্রতি ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাসকে সাময়িক নয়, স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে লতা ইউনিয়ন বাসির ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।