বৃহস্পতিবার , ১৩ জুলাই ২০২৩ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আশাশুনি
  4. কলারোয়া
  5. কালিগঞ্জ
  6. কৃষি
  7. খুলনা
  8. খেলা
  9. তালা
  10. দেবহাটা
  11. বিনোদন
  12. যশোর
  13. শিক্ষা
  14. শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  15. শ্যামনগর

আধুনিক সভ্যতার ক্রমবিকাশে কর্মহীন ধারী সম্প্রদায়

প্রতিবেদক
satkhirar sakal
জুলাই ১৩, ২০২৩ ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এম এ মাজেদ, ধুলিহর প্রতিনিধি : ভারতীয় উপমহাদেশে হিন্দু ধর্মের বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খন্ড, আসাম ইত্যাদি রাজ্যে লৌহ ইস্পাত দ্বারা মনুষ্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি যারা তৈরী করেন তারাই হলেন এই কর্মকার পদবী ধারী। হিন্দু সমাজে চার ধরনের শ্রেণীপেশার ভাগ আছে। ব্রাহ্মন, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শুদ্র। তাই কর্মকার হলো ক্ষত্রিয়। ক্ষুদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর একটি অংশ। কামার নামেই তারা বেশি সমাদৃত। তাদের ওজনদার হাতুড়ির ঠক ঠক শব্দ যেন প্রতিনিয়ত দারিদ্রের দুয়ারে কড়া নাড়ে। আর হাপরের দীর্ঘশ্বাসের সাথে লেপ্টে আছে তাদের জীবন। ভয়ানক দারিদ্রের মধ্যে দিন কাটছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ভালুকা চাঁদপুর বাজারের কর্মকারদের দিনকাল। লৌহজগতে কঠিন তাদের পথচলা।

কামার বাড়ি : ভালুকা চাঁদপুর বাজারে দুইটি কামারশালা। বাজারের পাশেই কামারদের বাড়ি। বাড়ির সাথে আরও দুটি আছে। সব মিলে ২০টা পরিবার। ১০০ জনের মত মানুষ। এটাই ভালুকা চাঁদপুরের একমাত্র কামার বাড়ি। বাবু কর্মকার জানালেন, তারা ব্যতিরেকে পার্শ্ববর্তী ফিংড়ী, ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নে কর্মকারদের বসবাস থাকলেও কর্মের সাথে সম্পর্ক নেই বললেই চলে। এক সময় আরো কামার ছিল।

কিন্তু এখন প্রায় সকলেই এ পেশা ছেড়ে দিয়েছে। কামার বাড়ির পরিবেশের অবস্থা খুবই নাজুক। নুন আনতে পান্তা ফুরায়। দ্রব্য মূল্যের উদ্ধগতির এযুগে পরিবারের কর্তা অন্যান্য সদস্যদের জন্য সুষম খাদ্যের ব্যবস্থা করতে কুপোকাত। বাড়িতে স্যানেটারী পায়খানা ব্যবস্থা থাকলেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। তাছাড়া টিউবওয়েলের পানিতে আর্সেনিক আছে কি নেই তাও তারা জানে না। বাড়ির এক গৃহিনী বলেন, আমাদের নুন ভাত দুটোর টান। আর্সেনিক পরীক্ষা করবো কখন, আর কি দিয়ে করবো?

মৌসুমী ব্যবসার পরিসমাপ্তি: কামাররা কাজ করে সারা বছর। পূর্বে বিক্রির বিশেষ মৌসুম থাকলেও এখন বেচাকেনার আলাদা কোন মৌসুম নেই। আগে সাধারণত বছরে দু’বার বেশি বেচাকেনা হতো। সুবোল কর্মকার বলেন, আগে চাষের সময় এক মৌসুমে ১০০ পিস লাঙলের হাল (ফাল) বিক্রি করতাম। এখন বিদেশ থেকে কলের লাঙল এসেছে। কেউ গরুর হাল ব্যবহার করে না। আমাদেরও আর বিক্রি হয় না। সভ্যতা ক্রমবিকশিত হলেও এপেশা শ্রেণীর মানুষ বেশ দুর্বিপাকে।

হাতুড়ির ধীর গতি: সুবোল কর্মকার (৫০) জানালেন, কামারদের হাতুড়ি সারা বছর চলে। বছরের সব সময় কম বেশি বিক্রি হয়। তবে বর্তমানে ধান কাটার সময় আসলে বেশি বেচাকেনা হয়। সকলেই ধান কাটার জন্যে কাঁচি কিনে। এছাড়া বাকী সময়ে বেচাকেনা কম থাকে। বিশেষত বর্ষার সময়ে একদম হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হয়। তখন সংসার চালাতে হয় ধারদেনা বা সুদের টাকা দিয়ে। হয়তো একারণে ক্লান্ত শরীর দুশ্চিন্তায় নেতিয়ে পড়া ঘুম।

ঋণের বোঝা যেন গলার কাঁটা: নকুল কর্মকার (৫২) বলেন, আমরা সারাদিন খাটলেও মজুরি পাই খুব কম। তাছাড়া এখন লোহা, কয়লার দামও বেড়েছে। অন্যদিকে কলের জিনিসপত্র, স্টিলের জিনিসপত্রের কারণে আমাদের পণ্যের চাহিদাও কম। তবু মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করলেও মানুষ জিনিসের যথাযথ দাম দেয় না। তিনি আরো জানালেন, যখন মৌসুম থাকে না তখন বিভিন্ন এনজিওর ঋণ তাদের গ্রহণ করতে হয়। গোটা বছরে টানতে হয় সুদের ঘানি। একদিকে সুদ, অন্যদিকে সংসার। কামারদের হৃদপিন্ড যেন দমে দমে থেমে যায়। বাবু কর্মকার জানালেন, তিনি সব মিলিয়ে নগদ ৭০,০০০/- টাকা ঋণ গ্রহণ করেছেন।

জীবন মানে সংগ্রাম: সুবোল কর্মকার বয়স (৫৫)। আজ প্রায় ৪০ বছর ধরে কামারের কাজ করেন। ১মেয়ে, ২ছেলে। মেয়ে বিবাহ দিয়েছেন অন্যত্রে। মাঝেমধ্যে মেয়ের সংসারের ঘানি টানতে তাকে। বড় ছেলে রবেকুল বিবাহ পরবর্তীতে আলাদা সংসার বেঁধেছে। তার পেশা ভ্যান চালক। ছোট ছেলে বাবা মার সাথে সংসারের ঘানি টানতে হচ্ছে কলুর বলদের মত। তার ছেলেমেয়ের স্কুলে পড়াশোনা করাতে ও সংসার চালাতে সে আজ নাজেহাল । অভিভাবক হয়ে স্কুলে গেলেও ছেলেমেয়ের বেতনাদির জন্যে হাজারো কথা শুনতে হয়।

হাপরের ঘনঘনানী হয়ত থাকবে না: এক সময় প্রত্যেক গ্রামে কিংবা দু’তিন গ্রাম মিলিয়ে একজন কামার পাওয়া গেলেও এখন যায়না। সুবোল কর্মকার বলেন, ধুলিহর ইউনিয়নে প্রায় ৪০/৪৫ হাজার মানুষ অথচ কামার মাত্র ৩/৪ জন। আগামী ৫ বছর পর দেখবেন আমরাও নেই। তিনি আরো বলেন, আমাদের কাজটি খুব পরিশ্রমের। লোহার উপর হাতুড়ি পেটাতে পেটাতে আমাদের ঘাম তপ্ত লোহার উপর পড়ে। লোহা সেই ঘাম টেনে নেয়। তারপর একটা জিনিস হয়। এত পরিশ্রম করা স্বত্তে¡ও আমরা সঠিক দাম পাইনা। তাই পরবর্তীতে কেউ আর এ পেশায় আসবে না। নকুল বলেন, ‘নাতিপুতি দরকার হলে লোকের বাড়ি কামলা খাটাবো তবুও আর কামারগিরি করতে দিবো না। এ ক্ষোভের পেছনে তিনি বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করেন। যেমন- পুঁজির অভাব, কাজের অভাব, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি, উৎপাদিত দ্রব্যের দাম কম, পৃষ্ঠপোষকতার অভাব, হাটবাজারে জায়গা না পাওয়া প্রভৃতি।

ওস্তাদ বাবা আর ছেলে সাগরেদ: কর্মকারদের সাথে আলাপে জানা যায়, তারা সকলেই প্রায় ২৫/৩০ বছর থেকে কাজের সাথে জড়িত। নকুল কর্মকার বলেন, আমার বয়স যখন ১৫ বছর তখন থেকেই আমি কাজ শুরু করি। আমার বাবাই আমাকে কাজ শিখিয়েছে। সুবোল কর্মকার বলেন, দেশে প্রত্যেক কাজে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকলেও আমাদের দেশে এ কাজের কোন প্রশিক্ষণ নেই। আমরা সকলেই আমাদের বাবা কিংবা ভাইয়ের কাছ থেকে কাজ শিখেছি। কাজ শেখা বা শিখানো প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, আমরা বাবা ভাইয়ের থেকে কাজ শিখলেও আমাদের ছেলেদের তা শেখাব না। আগুনের তাপ আর হাতুড়ির ওজনের সাথে বুক যেন ছিঁড়ে যায়। তবুও দাম পাই না। তাহলে আমরা কাজ শেখাব কোন স্বার্থে?

কামারের জায়গা নেই: প্রত্যেক হাটে বাজারে ক্ষুদ্র পেশাজীবিদের জন্যে আলাদা জায়গা বা ভিটে থাকলেও কামারদের জন্যে কোন জায়গা নেই। সুবোল কর্মকার বলেন, আমরা হাটের দিন বিভিন্ন হাটে গেলে দেখা যায়, আমাদের বসার জায়গা দিতে চায় না। প্রত্যেক দোকানীর জন্যে আলাদা আলাদা নির্দিষ্ট জায়গা থাকলেও আমাদের তা নেই। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে সুবোল বলেন, অনেক কষ্ট করে কোন হাটে যদি একটু জায়গা করে নেয় পরের হাটে আমাদের সেখানে বসতে দেয় না। যারা বাজারের দায়িত্বে থাকে তাদের খুব তোষামোদ করতে হয়। নিজেকে তখন খুব নীচ মনে হয়। বাবু কর্মকার বেশ আক্ষেপের সুরে জানায়, কামারদের জন্যে নির্দিষ্ট জায়গা না থাকলেও তাদের হাটে খাজনা অন্যদের চেয়ে বেশিই দিতে হয়।

বাবু কর্মকার বলেন- আমাদের দেশের মানুষের সামান্য গরম সহ্য হয় না। অথচ আমরা সারাদিন উনুনের সাথে বসে থাকি। ওজনদার হাতুড়ি দিয়ে বাড়ি দিতে দিতে হাতে ফোস্কা পড়ে, ক্ষত হয়ে যায়। হাতুড়ির ঠক ঠক শব্দে এখন কানে কম শুনি। এভাবে আমাদের প্রাত্যহিক জীবন যাপন। এত পরিশ্রমের কারণে প্রায় কামারই অসুস্থ হয়ে পড়ে। ফলে ওষুধ খেয়ে আবার শরীর ঠিক করতে হয়। এ প্রসঙ্গে বাবু বলেন, যা আয় করি তাতে ভাত খরচ যা লাগে, ওষুধ খরচ আরো বেশি লাগে। আমরা তো মানুষ, মানুষ কি সুস্থভাবে লোহার সাথে বাস করতে পারে?

বাবু কামারের সাথে আলাপকালে জানা যায়, আগে অনেকে কাজ শেখার কারণে বর্তমানেও এ পেশায় টিকে আছে। দেশের কয়েকটি জেলায় তার তৈরি করা জাতী সরবারহ করে এখনও এপেশায় ঠিকে আছেন তিনি। যদি সরকার সহায়তা করে তাহলে হয়ত এ পেশাকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে । না হলে এক সময় এপেশায় কাউকে পাওয়া যাবেনা।

ভোটের সময় ভাই ভাই: মজুুরি বৈষম্যহীন ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে ক্ষুদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্যে বিশেষ ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থাকলেও আমাদের দেশে এসব সুবিধা নেই। তবু সরকারি যে সকল সুযোগ-সুবিধা জনগণের জন্যে রয়েছে কামাররা তাও পায়না। সুবোল কর্মকার বলেন, আমরা স্বাধীন দেশের মানুষ। দেশ স্বাধীন হবার পর অনেকে ভারতে চলে গেলেও আমরা যাইনি। দেশকে ভালবেসে আজও অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছি। অথচ সরকারি কোন সুযোগ সুবিধাই আমরা পাই না। সরকার যায় সরকার আসে, অথচ আমাদের পরিবর্তন হয় না। ভোটের সময় আমাদের ভাই ভাই বললেও ভোটের পর আমরা কোন সাহায্য পাই না। মনে হয় আমরা যেন দেশের বাহিরের কেউ। দেশে অনেক এনজিও কাজ করলেও কামারদের নিয়ে কেউ কাজ করছে না বলে তিনি জানান।

সমাজের চোখ: দেশের অন্যত্র কামারদের নীচু বলে সামাজিকভাবে দেখলেও এখানাকার কামারদের সেভাবে দেখে না বলে তারা জানান। এর কারণ হিসেবে তারা বলেন, তাদের নিবাসের আশেপাশে সবই হিন্দু পাড়া ছিল। কয়েক পুরুষের বসবাস এখানে তাদের। সকলে এখান থেকে চলে গেলেও তারা যায়নি। স্থানীয় এবং দীর্ঘদিন বসবাসের কারণে সকলের সাথে তাদের সামাজিক গ্রন্থি বেশ শক্ত।

ভবিষ্যৎ প্রজন্ম: কামারদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ব্যাপারে তারা বেশ চিন্তিত। কোন কামারই চাচ্ছে না তার সন্তান এ পেশায় আসুক। এ প্রসঙ্গে নকুল কর্মকার বলেন, খাই কিংবা না খাই আমার নাতিনাতনিকে আমি পড়ালেখা শেখাব। বড় নাতি ৮ম শ্রেণীতে পড়ে। প্রয়োজনে সবকিছু গুছিয়ে হলেও তাকে পড়াব। বর্তমানে কামারদের যে নাজুক অবস্থা তাতে করে কোন কামার তার ছেলেকে এ পেশায় আনতে চায় না। তিনি বলেন ‘আমরা যে ভুল করেছি আমাদের ছেলেদের সে ভুল করতে দেব না।’

ব্যবস্থাপনার সারকথা: আবহমান প্রাচীন কাল থেকে বর্তমান সভ্যতা আধুনিক যুগে পৌঁছানোর জন্য লৌহের ব্যবহার অপরিহার্য উপাদান হিসাবে গন্য। লৌহ ব্যবহার উপযোগী হয়েছে এই কর্মকার বা ক্ষয়ত্রী স¤প্রদায়ের হাত ধরেই। কামারদের সাথে আলাপকালে দেখা যায়, বিভিন্ন সমস্যার কারণে অনেক কামারই এ পেশা ছেড়ে দিচ্ছে। এভাবে পেশা বদলের ফলে এক সময় কামাররা হারিয়ে যাবে। আমাদের ঐতিহ্যের একটি অঙ্গ কামার। তাদেরকে স্ব পেশায় টিকিয়ে রাখার জন্যে সরকারিভাবে অনুদানের ব্যবস্হা করা যেতে পারে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় বিশেষ ভাতার বরাদ্দ করা যেতে পারে।

তাতে পরবর্তীতে অন্যদের কাজ শেখার আগ্রহ বাড়বে। কাজ শেখার জন্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করতে হবে। কামারদের ব্যবহৃত কাঁচামাল কম মূল্যে সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। যারা এ পেশা ছেড়ে দিয়েছে তাদের সাথে আলাপ করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে এবং কামারদের উৎপাদিত পণ্যের বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের পণ্য বিপননের ব্যবস্থার মাধ্যমেই এ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে।

সর্বশেষ - সাতক্ষীরা সদর

আপনার জন্য নির্বাচিত

চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলবে- ডা: বাহার

এস এস সি পরীক্ষায় সাতক্ষীরা জেলায় প্রথম আহনাফ তাহসিন

দেবহাটায় আইন শৃঙ্খলা ও সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা

আশাশুনিতে পিক আপ উল্টে ২৩০০ মুরগির মৃত্যু

দেবহাটায় কম্পিউটার এন্ড নেটওয়ার্কিং বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন

কাপ পিরিচ প্রতীকের পক্ষে প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলুর গণসংযোগ

বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের উদ্যোগে পেশাজীবী গাড়ি চালকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

সাতক্ষীরা-৩ আসনে জাপার মনোনয়ন ক্রয় করলেন এড. আলিপ হোসেন

সদর উপজেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউটিন ও গৃহ নির্মাণ অর্থ বিতরণ

তালা কামেল মডেল হাইস্কুলে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ