মোঃ আজগার আলী : দীর্ঘ ৯ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও ক্ষতিগ্রস্থ গফ্ফারের চুরি যাওয়া পনের লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা আজও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। টাকা উদ্ধার না হওয়ায় হতাশায় দিন পার করছেন ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল গফ্ফার। টাকার শোকে বর্তমান অসু¯ তিনি। এজাহার সূত্রে জানাগেছে, গত ২৬ অক্টোবর ২০২২ ইং রাত ১০টার পরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বড়খামার গ্রামে আব্দুল গফ্ফার কারিকরের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে।
এব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ আব্দুল গফ্ফার ২৭ অক্টোবর ২০২২ ইং সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের বড়খামার গ্রামের ইমান আলী কারিকরের ছেলে আব্দুল গফ্ফার গত ২৬ অক্টোবর বুধবার রাত ১০টার সময় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। রাতের যে কোন সময় চোর চক্র বিল্ডিং এর নিচের ক্লপসিকল গেটের তালা ভেঙে দ্বিতীয় তলায় উঠে আব্দুল গফ্ফারের ঘরে ঢুকে ড্রেসিং টেবিলের তালা ভেঙে ১৫ লক্ষ ৫০হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।
আব্দুল গফ্ফারের স্ত্রী ফজরের নামাজ পড়তে ঘর থেকে বারান্দায় এসে দেখতে পান তাদের ক্লপসিকল গেটের তালা নাই। এ সময় গফ্ফারের স্ত্রী তাদের বাড়ির অন্য সদস্যদের ডেকে তোলেন। চুরির বিষয়টি বুঝতে পারেন। এব্যাপারে আব্দুল গফ্ফার সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন, পরে তদন্ত শেষে ৮ই নভেম্বর সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা এজাহারভূক্ত ( মামলা নং- ৩৯/৮৪৯ ) হয়। এজাহারভূক্ত মামলা ৯ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও ক্ষতিগ্রস্থ গফ্ফারের ১৫,৫০,০০০ ( পনের লক্ষ পঞ্চাশ হাজার ) টাকা আজও উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নী সদর থানা পুলিশ।
জানা যায়, ৬ নং বড় খামার ওয়ার্ড মেম্বর লুৎফর রহমান এলাকার নয়জন পেশাদারী চোরের তালিকার মাধ্যমে বড়খামার চুরি যাওয়া টাকার ব্যাপারে সাহেব আলীর ছেলে শাহাজান কে আটক করে পুলিশ এবং পরবর্তিতে সন্ধেহভাজন আরও তালিকাভূক্ত একএক করে ১. রুমান ডাকাত, পিতা-আইকু হাজী, গ্রাম- বালীগাছা, ২. ইসহাক, পিতা মৃত কেরামত আলী, গ্রাম বড়খামার এদের আটক করা হলে মেম্বর লুৎফর রহমান এর ছত্রছায়ায় ছাড়া পেয়ে যায়। এই চুরির ঘটনা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ছাপা হলে পরবর্তিতে সন্ধেহভাজন এবাদুল, পিতা মৃত মোমতাজ আলী, বড়খামার তাদের আটক করে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ।
এবাদুলকে আটক করা হলে হন্তদন্ত হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় ছুটে আসেন ৬নং বড় খামার ওয়ার্ড মেম্বর লুৎফর রহমান। এবং মেম্বর লুৎফর রহমানের ছত্রছায়ায় এবাদুলকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এলাকাবাসির সূত্রে জানা যায়, টাকা চুরি যাওয়ার পর পরই এই এবাদুল ছেলের জন্য একটি মটরসাইকেল কিনে দেয়, বদ্দকি জমি ছাড়ানো, বাড়িঘর ঠিক করাসহ অনেক কিছু করেছে। বর্তমান সময়ে মেম্বর লুৎফর রহমানের ছত্রছায়ায় বিদেশে পাড়ি দিয়েছে, এলাকাবাসির অভিযোগ এবাদুল হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হলো কি ভাবে?
সাতক্ষীরা সদর থানাতে আমাদের প্রতিবেদক জানতে গেলে মোঃ নজরুল ইসলাম পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জানান তদন্ত চলছে, এবং খুব শিঘ্রই চোরেদের আটক করে আইনেরে আওতায় আনা হবে। ক্ষতিগ্রস্থ গফ্ফারের টাকা উদ্ধারের জন্য পুলিশ সুপার এর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।