পাইকগাছা প্রতিনিধি : হাতকড়া পরানো অবস্থায় আসামি পালানোর ঘটনায় থানা পুলিশের এএসআই নাসির উদ্দীনকে জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করায় বিপাকে পড়েছেন তিনি। এলাকাবাসী হয়েছেন হতবাক। মাদকের সিন্ডিকেটরা হয়েছে উচ্ছ¡াসিত।
তিনি পাইকগাছা থানায় যোগদানের ১৪ মাসের মধ্যে ১ মণের বেশি গাঁজা, একবারে ৩’শ বোতল ফেনসিডিলসহ ৫শতাধিক বোতল ফেনসিডিল, এছাড়া ইয়াবাসহ মাদকসেবি ও বিক্রিতাদের গ্রেফতার করেছেন। বিদেশী দুটি রিভলবল, ১টি পিস্তল, ১৪ রাউন্ড কার্তুজ সহ অনেকগুলো দেশী অস্ত্রসহ বনদস্যু রুস্তুমকে গ্রেফতার করেন। বিভিন্ন মামলার ২ শতাধিক আসামী গ্রেফতার করেছেন।
সর্বশেষ রোববার ডাকাতি প্রস্তুতি মামলার সন্ধিগ্ধ আসামিকে আনা মনিরুল ইসলামকে কৌশলে আটক করেন তিনি। হাতকড়া অবস্থায় পুলিশভ্যানে থাকলেও তার হাতের কব্জি খুব সরু হওয়ায় কৌশলে তা খুলে ফেলে কোন এক সময়। বাজারের পোস্ট অফিস মোড়ে পুলিশ ভ্যান যানজটে পড়লে সে আকর্ষিক এএসআই নাসির কে আঘাত করে ভ্যান থেকে লাফ দিয়ে পালায় যায়।
তাৎক্ষণিক ওসি রফিকুল ইসলামের দিকনির্দেশনায় পৌরসভার চতুরদিক পুলিশ ঘিরে ফেলে। ৪ ঘন্টার মধ্যে পালাতক মনিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। উল্লেখ্য, এএসআই নাসির উদ্দীনের বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে একাধিক সোর্স। যাদেরকে মাঝে মাঝে টাকাও দিতে হয় বলে জানা যায়। এছাড়া তিনি কখনও কৃষক, কখনও মাদক ক্রেতা, কখনও দিনমজুর বা শ্রমিক সেঁজে আসামী আটক বা গ্রেফতার করেন। ফলে পাইকগাছায় সবখানে নাসির আতংক।
এব্যাপারে এএসআই নাসির জানান, সার্কেল স্যার ও ওসি স্যারের দিকনির্দেশনা নিয়ে আমরা কয়েকজন অফিসার মাদকের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার থাকি। কিন্তু আকর্ষিক ক্লোজ হওয়াতে আমার সন্তান সম্ভাবনা স্ত্রীকে নিয়ে মহাবিপদে পড়েছি। আর মাত্র দু’মাস পরে সন্তান ভ‚মিষ্ঠ হওয়ার সম্ভাবনা বলে ডাক্তারের পরামর্শ রয়েছে।
এ বিষয়ে থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডাকাতি মামলার আসামি মনিরুল হাতকড়াসহ পালিয়ে যান। পরে ওই আসামিকে অন্য এক স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এ ঘটনায় খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ সাইদুর রহমানের এক বার্তায় এএসআই নাসির উদ্দীনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে।’