ই. এইচ সুজন, কুল্যা প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের মহিষাডাঙ্গা গ্রামে সেফটি ট্যাংকিতে নেমে এক শ্রমিক অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে উদ্ধার করতে বাড়ির মালিক বাসুদেব বিশ্বাসের ছেলে আসুতোষ বিশ্বাস নামলে দম আটকে দুজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মৃত শ্রমিকের নাম মিলন সরকার ও মালিকের ছেলের নাম আশুতোষ বিশ্বাস। বুধবার বিকাল ৪টার দিকে মহিষাডাঙ্গা গ্রামে এঘটনা ঘটে। মহিষাডাঙ্গা গ্রামের নিমাই সরকারের ছেলে মিলন (২২) রাজমিস্ত্রীর সহকারী হিসেবে কাজ করেন।
গতকাল বাড়ীর পাশে শ্রমিকের কাজ শেষে এক সপ্তাহ আগে ঢালাইয়ের কাজ করে রাখা বাসুদেব বিশ্বাসের বাড়িতে সেফটি ট্যাংকির সেন্টারিং এর বাঁশ খুলতে ভিতরে নামে শ্রমিক মিলন। মুহুর্তের মধ্যেই সে সেফটি ট্যাংকির মধ্যে চিৎকার করে বেহুঁশ হয়ে পড়ে। চিৎকার শুনতে পেয়ে বাড়ির মালিকের ছেলে আশুতোষ বিশ্বাস (৪৫) তাকে উদ্ধার করতে ট্যাংকিতে নামলে তিনিও চিৎকার করে বেহুঁশ হয়ে পড়েন। বাড়ির লোকজন অত্যন্ত সাবধানতার সাথে তাদেরকে উদ্ধার করেন এবং এসময় ঐপথে যাওয়া সাতক্ষীরা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি তাদেরকে নিয়ে দ্রæত সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থলে যাওয়া এএসআই আব্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সেফটি ট্যাংকিতে নেমে কি কারণে মৃত্যু হয়েছে তা ময়না তদন্ত ছাড়া বলা যাবেনা। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে ট্যাংকির ঢাকনা ঢাকা থাকায় বিষাক্ত গ্যাসের সৃষ্টি হয়েছে, গ্যাসে দম আটকে তাদের মৃত্যুও ঘটনা ঘটতে পারে। কুল্যা ইউপি চেয়ারম্যান এস এম ওমর ছাকি ফেরদৌস পলাশ মর্মান্তিক মৃত্যুর খবরে মর্মাহত হয়েছেন। তিনি শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।