আলী নেওয়াজ/ শেখ বাদশা, আশাশুনি : সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ হুমায়ুন কবির বলেছেন, বড় কিছু হতে হলে, বড় করে স্বপ্ন দেখতে হবে। এপিজি আবুল কালাম আজাদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখা স্বপ্ন নয়, ঘুম কেড়ে নেয় যে স্বপ্ন, আমাদের সেই স্বপ্ন দেখতে হবে। বিগত ২০২১ সালের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশের উন্নয়নের স্বপ্ন পুরন হয়েছে, যা বর্তমানে চলমান।
আগামী ২০৪১ সালের স্বপ্ন হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। তার জন্য আমাদের স্বপ্ন দেখতে হবে। আজ এই কাম্পাসে যে সকল শিক্ষার্থীরা বসে আছে আগামী দিনে এরাই হবে ডিসি, এসপি, মন্ত্রী বা সচিব। মঙ্গলবার সকলে আশাশুনি সরকারি কলেজে বঙ্গবন্ধু কর্ণার ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার এর নবআঙ্গিকে উদ্বোধন, ২০২৩ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও বৃক্ষ রোপন, বার্ষিক বহি: ক্রীড়া প্রতিযোতায় বিজয়ীদের পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বিগত দিনে বহু নামিদামি লোক বাঙ্গালী ছিলেন পরাধীন। কিন্তু, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের একটি স্বাধীন দেশ বা রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন। এজন্য তারপ্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আমাদের কথা বলা উচিত। তিনি বলেন, পড়া লেখার পাশাপাশি প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ক্রীড়া, সাংস্কৃতি চর্চা ও বহিঃ জ্ঞান থাকতে হবে। সুতরাং স্মার্ট বাংলাদেশ দেখতে হলে, ভোগ করতে হলে নিজেদের সকল ক্ষেত্রে স্মার্ট হতে হবে। প্রধান অতিথি শিক্ষার্থীদের সময় কাজে লাগিয়ে নিজেদের গড়ে তোলার আহবান জানান।
তিনি কলেজের সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে ভূয়ষী প্রশংসা করেন। প্রধান অতিথি যতদিন সাতক্ষীরায় থাকবেন ততদিন এ কলেজের জন্য যা কিছু প্রয়োজন সবকিছু করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন। কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও প্রভাষক জাকির হোসেন ভূট্ট ও শিরির বাহার যুথির যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রনি আলম নুর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপা রানী সরকার, থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মমিনুল ইসলাম (পিপিএম)।
অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হান্নান, সহকারী অধ্যাপক হোসেন আলী, প্রভাষক বাকি বিল্লাহ, প্রভাষক নীলেন্দু মুখার্জি, বিদায়ী শিক্ষার্থী সরাবান তহুরা, খাদিজা খাতুন প্রমূখ। অনুষ্ঠান চলাকালে অতিথিবৃন্দের বক্তব্যের মাঝে সংগীত পরিবেশন করেন, প্রভাষক শিরিন বাহার, শিক্ষার্থী সুতপা রানী সরকার ও অরুপা সরকার। অনুষ্ঠানপূর্ব বঙ্গবন্ধু কন্যার ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠান শেষে বৃক্ষ রোপন ও কলেজের বার্ষিক বনভোজনে মধ্যহ্ন ভোজে মিলিত হন। বিকাল সাড়ে ৩ টায় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ হুমায়ুন কবির মানিকখালি আশ্রায়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন।