এ এফ এম মাসুদ হাসান, শ্যামনগর: ১০ মহররম বিশ্বজুড়ে মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও শোকাবহ এক দিন। হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রানপ্রিয় দৌহিত্র, জান্নাতের সর্দার হজরত ইমাম হোসাইন (আ.) এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা কারবালার ময়দানে ইয়াজিদের সৈন্যদের হাতে শহীদ হন।
শান্তি ও স¤প্রীতির ধর্ম ইসলামের মহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে হজরত ইমাম হোসাইন (আ.)–এর আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে আছে। কারবালার এই শোকাবহ ঘটনা অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং সত্য ও সুন্দরের পথে চলতে প্রেরণা জোগায়। বেদনাবিধুর কারবালার সকল শহীদের স্বরণে, ২৯ জুলাই (রবিবার) শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর পাক পাঞ্জতন জনকল্যাণ পরিষদের আয়োজনে প্রতিবছরের ন্যায় এবার ও গুলশানে যাহারা ইমাম বাড়িতে ১০ মহররম উপলক্ষে শোক মজলিস, মিছিল ও মাতম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত শোক মিছিলে খালি পায়ে শিয়া স¤প্রদায়ের মানুষেরা হায় হোসেন হায় হোসেন ধ্বনিতে মাতম করতে করতে স্থানীয় কারবালায় অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে। শীয়া স¤প্রদায়ের মানুষেরা কালো কাপড় পড়ে উক্ত শোক মিছিলে উপস্থিতি ছিলেন। সকলের চোখেমুখে শোকের ছায়া বিরাজ করছে। নূরনগর গুলশানে যাহারা ইমাম বাড়ির সভাপতি শেখ রওশান আলমের সভাপতিত্বে উক্ত শোক মজলিসে পবিত্র কুরআন ও হাদিস থেকে কারবালার শহীদের স্বরণে মূল্যবান আলোচনা পেশ করেন, নূরনগর শিয়া মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা সাজিদুল ইসলাম। কারবালার স্বরণে শোক নওহা পাঠ করেন, শেখ হাবিবুল আলম, শেখ জুলফিকার আলি, নাদিম সারওয়ার, তৌকির হাসান সোহাগ সহ আরও অনেকে। উক্ত শোক মজলিসে শ্যামনগর থানা পুলিশের নিরাপত্তা ছিলো চোখে পড়ার মতো।