ধুলিহর প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের বড়দল গ্রামের মেঘের মোড় হতে বাগডাংগা ওয়াপদা পর্যন্ত গ্রামীণ মাটির রাস্তা টেকসই করনের জন্য ৭২লক্ষ টাকা ব্যয়ে ইটের হেরিং বোন বন্ড রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সম্পুর্ণ অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে ৩৪ হাজার ফুট বালু উত্তোলন করে উক্ত রাস্তা ভরাট করা হয়েছে। মাত্র দেড় টাকা ফুট হিসাবে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে উক্ত রাস্তা ভরাট করার জন্য বিক্রি করেছে বড়দল গ্রামের রইজউদ্দীনের সরদারের পুত্র মাসুদ সরদার। মাটিয়াডাংগা গ্রামের আসমাতুল্লার অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
এছাড়া ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ ১ নং ইটের পরিবর্তে নিন্মমানের ও পুরাতন গোটা (ভাঙ্গা) ইট দিয়ে তড়িঘড়ি করে দায়সারাভাবে রাস্তা নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে জেনে সরেজমিনে গিয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির প্রতিবাদে ফুসে উঠলেও একটি বিশেষ মহলের হুমকিতে তারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে বলে জানা যায়। এছাড়া সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এসব কাজের তথ্য বিবরণীর সাইনবোর্ড দেওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদার আলতাফ হোসেন তা দেননি।
বিষয়টি জানতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের প্রতিনিধি পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার জনৈক যুবদল নেতা সুমন দাম্ভিকতার জানান, আমার বাড়ি পুরাতন সাতক্ষীরায়, আমি সদর ইউএনও’র নিকট থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের অনুমতি নিয়েছি। আপনাদের রাস্তার খোঁজ নেওয়ার দরকার নেই। এব্যাপারে ইউপি সদস্য মো. এনামুল হক খোকন জানান – আমি এত অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে রাস্তা তৈরি করতে এর আগে দেখিনি।
কোন নিয়মনীতির বালাই নেই। হেরিং বোন বন্ড রাস্তার নিচের ভাঁজে সব পুরাতন গোটা (ভাঙ্গা) ইট দেওয়া হচ্ছে। আমরা বাধা দিতে গেলে ঠিকাদারের ভাড়াটে মাস্তানরা হুমকি ধামকি দিচ্ছে। বিষয়টি জানতে স্থানীয় চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরীর মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এছাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইয়ারুল হক জানান- ধুলিহর বড়দলে কোন রাস্তা হচ্ছে কিনা তা আমার জানা নেই, এটা আমাদের দায়িত্বের বাহিরে। সচেতন এলাকাবাসী অবিলম্বে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।