সকাল রিপোর্ট: ভারমুক্ত হলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি একে ফজলুল হক। একই সাথে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রশিদও ভারমুক্ত হতে চলেছেন। আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা থেকে ভারপ্রাপ্ত নেতাদের ভারমুক্ত করে দেওয়ার আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার প্রেক্ষিতে এই ভারের অবসান হয়েছে।
তবে ঘোষণার পরিধি সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কানাই লাল বিশ্বাসের এক আবেদনের পর আওয়ামী লীগ সভাপতির তরফ থেকে এ ঘোষণা এসেছে। বিশেষ সভার রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বক্তব্য রাখেন কানাই লাল বিশ্বাস।
বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে দলীয় সভাপতিকে উদ্দেশ করে কানাই লাল বলেন, ‘হাকিম সাহেবের (এমএ হাকিম হাওলাদার) মৃত্যুর পরে আমি ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি হয়েছি। দয়া করে ভারমুক্ত করে দেন। এটা আমি আপনার প্রতি দাবি করছি। আপনার কাছে আজ এ দাবিটুকু করলাম।’ জবাবে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনাদের ভারমুক্ত করে দিলাম। আজকের বৈঠকে সবার সম্মতিতে ভারমুক্ত করে দিলাম।’
বৈঠকে উপস্থিত স্থানীয় পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কানাই লালের পর ফ্লোর দেওয়া হয় বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ল²ীপদ দাসকে। প্রধানমন্ত্রী তার নাম ঘোষণার সময় বলে ওঠেন, ‘এও দেখছি ভারপ্রাপ্ত। ভারমুক্ত করে দিলাম। আজ থেকে কোনও ভারপ্রাপ্ত থাকবে না। সব ভারপ্রাপ্তরা ভারমুক্ত।’
প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদের মৃত্যুর পর সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে একে ফজলুল হক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনোনীত হন। অপরদিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল খায়ের সরদারের মৃত্যুর কারনে সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুর রশিদ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনোনীত হন।