নিজস্ব প্রতিনিধি : জনসংখ্যার চাপ ও সুশাসনের অভাবকে নদ-নদী ও পরিবেশ রক্ষার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল।
তিনি বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি উন্নয়ন পরিকল্পনায় নদীসহ পরিবেশের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। ফলে নদী ব্যবস্থাপনায় বড়ধরণের পরিবর্তন এসেছে। যা দীর্ঘ স্থায়ী সংকট তৈরি করছে। উপক‚লে এই সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
৭আগস্ট সোমবার গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য ‘পরিবেশ ও উপক‚ল’ বিষয়ক দু’দিনের অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন। ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এবং সুন্দরবন ও পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবন ও উপক‚ল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র। আলোচনায় অংশ নেন বাপা’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মো. নূর আলম শেখ, একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক পলাশ আহসান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র যুগ্ম মহাসচিব হেদায়েত হোসেন মোল্লা, লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মÐল, সুশীলনের সহকারি পরিচালক শাহিনা পারভীন, ওয়াটারকিপার্সের গবেষণা ব্যবস্থাপক ইকবাল ফারুক, কোষ্টাল ভয়েসের সাধারণ সম্পাদক কৌশিক দে, ডিইউজে’র সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাকিলা পারভীন প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে শরীফ জামিল আরো বলেন, দুষণের কারণে ঘরবাড়ি ছাড়ছে বাধ্য হচ্ছে নদী পাড়ের মানুষ। দুষণের পশাপাশি অপরিকল্পিত শিল্পায়নের কারণে হুমকির মুখে নদ-নদী ও জীববৈচিত্র্য। ধবংস হচ্ছে বনভ‚মি। বিশেষ করে সুন্দরবন ধ্বংসের কারণে হুমিকর মুখে সমগ্র দক্ষিণ-পশ্চিম উপক‚লীয় অঞ্চল। এমতাবস্থায় উপক‚লের জীবন-জীবিকা ও পরিবেশ সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহŸান জানান তিনি।
বাপা নেতা নূর আলম শেখ বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে সুন্দরবনসহ উপক‚লের পরিবেশ হুমকির মুখে। উপক‚ল পানিতে ভাসলেও সুপেয় পানির সংকট দিন দিন বাড়ছে। তাই সাংবাদিকদের চিন্তা-চেতনা ও লেখনিতে উপক‚ল, সুন্দরবনসহ প্রাণপ্রকৃতি রক্ষার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, উপক‚লের নদ-নদী দখল-দূষণ, সুন্দরবন ধ্বংসসহ প্রাণ-প্রকৃতি বিপর্যয়ের চিত্র সঠিক ভাবে গণমাধ্যমে আসলে তা পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনে সাহস যোগায়। একইসাথে আন্দোলনের ইস্যু নির্ধারণ ও কর্মসুচি প্রণয়নে সহায়ক হয়। এ সকল বিষয়ে সাংবাদিকদের আরো বেশি সক্রিয়া ও সাহসী হওয়ার আহŸান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, উপক‚লের সকল জেলা ও উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে। প্রথম দফা ৩১ জন সাংবাদিক অংশ নিচ্ছেন। তিন দফা অনলাইন প্রশিক্ষণ শেষে দুই দফা তিন দিনের আবাসিক কর্মশালার আয়োজন করা হবে।