নজরুল ইসলাম, পাইকগাছা : সরকারের দূরদর্শী চিন্তাচেতনা, উন্নয়ন কর্মকাÐে বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ জনপদ। বিশেষ করে যোগাযোগ ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, ছয়- আট লেন মহাসড়ক সহ অসংখ্য অবকাঠামো উন্নয়নে শেখ হাসিনা সরকারের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি শুধু শহরের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেননি। দেশের বৃহত্তর অবহেলিত জনগোষ্ঠী গ্রামীণ।
এই জনপদের উন্নয়ন না হলে সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব পর নয়। সেই সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গ্রামীণ জনপদ পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী জিসি- ফতেপুর ¯øুইচ গেইট থেকে ধামরাইল বাজার পর্যন্ত দৃষ্টিনন্দন প্রায় ৩ কি.মি. ইটের সোলিং এর পরিবর্তে পিচের রাস্তা নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়েছে। দীর্ঘদিনের প্রতিক্ষিত এ সড়কের কাজ শেষ হওয়ায় স্থানীয় জন সাধারণের মাঝে ব্যাপক উৎসবের আমেজ বইছে। বিশেষ করে রাস্তাটি পাকাকরণ হওয়ায় পাইকগাছা-কয়রা দু’উপজেলার হাজার হাজার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, খুলনা বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এলজিইডি অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ফতেপুর ¯øুইচ গেইট থেকে ধামরাইল বাজার পর্যন্ত সড়ক ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বরাদ্দ দেয়া হয়। দৈর্ঘ্য ২৮২৫ মিটার, চওড়া ১০ ফুট। যার গত ৩০ জুন ২০২৩ তারিখে নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ওই কাজের বরাদ্দ পান মেসার্স ঝর্ণা এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার শেখ আসলাম আলী। এবং কাজের সার্বিক পরিচালনা করেন উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুর রহমান খান। ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাদা ইলিয়াস বলেন, কয়রা’র সাথে এ মেইন রাস্তাটি পিচের কার্পেটিং হওয়ায় দু’ উপজেলার মানুষের উপকার হয়েছে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি ছিল।
রাস্তাটি নির্মাণে ব্যাপক প্রতিবন্ধীকতা ছিল। পূর্বে এ রাস্তা নির্মাণ করতে এসে ঠিকাদার নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির অজুহাতে কাজ রেখে চলে যায়। শেষ পর্যন্ত রাস্তাটি সম্পন্ন। স্থানীয় ইউপি সদস্য আনিছুর রহমান, হাসেম, মনি সহ আরো অনেকে জানান, সড়কটি পাকাকরণ হওয়ায় এলাকাবাসী খুঁশি। চলাচলে সুবিধা বেড়েছে। কাজের মান সন্তোষজনক। এ সড়ক দিয়ে সহজেই পাইকগাছা ও কয়রা’র হাজার হাজার মানুষ বিকল্প সড়ক হিসেবে সহজেই যাতায়াত করছে। ফলে ঢাকা, খুলনা, সাতক্ষীরা গামী সাধারণ মানুষের সময় ও অর্থ বেচেঁ যাওয়া সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে জনসাধারণ।
স্থানীয়রা আরো জানান, দীর্ঘ দিন এই রাস্তা টি সংস্করণের অভাবে বেহাল দশায় পরিণত হয়। জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। ঠিকাদার বরাদ্দ পর্যাপ্ত না হওয়ায় প্রথম দিকে কাজে গড়িমসি করে। পরবর্তীতে উপজেলা প্রকৌশলীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় চিঠি চালাচালি, ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানালে ঠিকাদার অবশেষে রাস্তাটি পাকাকরণ সম্পন্ন করেন। এলাকাবাসীর মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে।
পাইকগাছা উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুর রহমান খান বলেন, রাস্তাটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ায় শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থা নয় এ অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভ‚মিকা রাখবে। রাস্তাটি দু’উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সুসংহত হয়েছে। এদিকে, দীর্ঘদিনের প্রতিক্ষীত অবহেলিত রাস্তাটি পিচের কার্পেটিং হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্থানীয় এমপি সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এলাকাবাসী।