সেলিম হায়দার/তাপস সরকার, তালা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক দেশের ২২ হাজার ১০১ ভ‚মিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন। বুধবার (৯ আগস্ট) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে আশ্রয়ণ ২ প্রকল্পের ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উদ্বোধনের এ ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
এর অংশ হিসাবে তালা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে তালা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া শারমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) আরাফাত হোসেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যদানকালে জেলা প্রশাসক জানান, জেলার ৭টি উপজেলায় ৩৪২৮ জন ভ‚মিহীন ও গৃহহীন পরিবার নির্বাচন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ম পর্যায়ে ১১৪৮টি, ২য় পর্যায়ে ৬৬৫টি, ৩য় পর্যায়ে ৮০৯টি এবং ৪র্থ পর্যায়ে ৬০৫টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ৪র্থ ধাপের ৬০৫টি ঘরের মধ্যে ৩৮৬টি ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বাকী ২১৯ ঘরের নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এছাড়া জেলার তালা উপজেলায় ৩১০টি, কলারোয়া উপজেলায় ৩৭৫টি, দেবহাটা উপজেলায় ১৬২টি ও শ্যামনগর উপজেলায় ৫৪৯টি ভ‚মিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করে ইতোমধ্যে উক্ত উপজেলাসমূহকে ভ‚মিহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ১ম থেকে ৪র্থ পর্যায় পর্যন্ত সদর উপজেলায় মোট ৫৬৪টি ও কালিগঞ্জ উপজেলায় ৩৭১টি পরিবারকে পুনর্বাসন করে এ দুটি উপজেলাকেও ভ‚মিহীনমুক্ত ঘোষণা করার প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, জেলায় ৩৬৪টি মুজিববর্ষের ঘর উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। বুধবার ভার্চুয়ালী এসব ঘর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, স্বচ্ছতার সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ঘর গুলো নির্মাণ করা হয়েছে। এর আগে জেলার চার উপজেলাকে ভ‚মিহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিলো। এবার আরও দুটি উপজেলাকে ভ‚মিহীন মুক্ত ঘোষণা করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একটি উপজেলা কিছু ঘরের কাজ চলমান রয়েছে। পরিবর্তিতে সেই ঘর গুলো হস্তান্তরের মাধ্যমে সাতক্ষীরা জেলাকে ভ‚মিহীনমুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন তালা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী রেজাউল করিম, তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও খলিলনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রভাষক প্রনব ঘোষ বাবলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন জোর্য়দ্দার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওবায়দুল হকসহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।