জি এম ফিরোজ উদ্দিন, মণিরামপুর প্রতিনিধি : ‘যারা স্বাধীনতার মহান স্থপতি বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে ইতিহাসের বর্বরোচিত হত্যাকান্ড ঘটিয়ে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে বঙ্গবন্ধুসহ এদেশের নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিলো, আজ তারাই ইতিহাসের আস্তাখুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের গর্ব। তার নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছিল এ কথা দেশের প্রতিটি বিবেকবাণ নাগরিক স্বীকার করে।
অথচ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কিছু বিপদগামী কুলাংগারের হাতে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাসহ তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। বিশ্ব ও মানবসভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম এ হত্যাকাÐের মাধ্যমে সেদিন খুনিরা সেদিন বাঙালির হাজার বছরের প্রত্যাশার অর্জন স্বাধীনতার আদর্শ গুলোকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। মুছে ফেলতে বাঙালির বীরত্বগাথার ইতিহাসও। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের শাস্তি নিশ্চিত না করে বরং দীর্ঘ সময় ধরে তাদের আড়াল করার অপচেষ্টা হয়েছে। এমনকি খুনিরা পুরস্কৃতও হয়েছে নানাভাবে। হত্যার বিচার ঠেকাতে কুখ্যাত ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ জারি করেছিল বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোশতাক সরকার। আর বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুনর্বাসনে দেশে-বিদেশে সহযোগিতা করেছে জিয়াউর রহমান, খালেজা জিয়া ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
২১ বছর পর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ উন্মুক্ত এবং নানা বাধাবিপত্তি পেরিয়ে বিচার কাজ শেষ করেছে। পলাতক বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত পলাতক খুনিদের দেশের মাটিতে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করার জন্য যা কিছু করা দরকার-সরকার সেটা করে যাচ্ছে। অচিরেই এ রায়ের সকল কার্যক্রম শেষ হবে দেশের প্রতিটি নাগরিক বিশ্বাস করে।’ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে কালো পতাকা উত্তোলন, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি এবং শহীদ বেদীতে পূষ্পার্পণ ও শোক র্যালি শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন ভট্টাচার্য্য (এমপি)।
মঙ্গলবার দিবসটি উপলক্ষে মণিরামপুর পৌরসভা চত্বরে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আলহাজ্জ্ব কাজী মাহমুদুল হাসান। উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মুরাদুজ্জামান মুরাদের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, তরুণ আওয়ামীলীগনেতা ও যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি বশির আহমেদ খান, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও জেলা পরিষদ সদস্য গৌতম চক্রবর্তী, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু, পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি আমজাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম কামরুল, আওয়ামী লীগ নেতা কৃষিবিদ মোজাম্মেল হোসেন মেইল, তপন বিশ^াস পবণ, মোন্তাজ বিশ^াস, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের তরুণনেতা ও পাবলিক লাইব্রেরির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি, কাজী মাহমুদ পারভেজ শুভ, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম জিন্নাহ, ইঞ্জি. আলমগীর হোসেন আলম, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শরিফুল ইসলাম রিপন, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের আহবায়ক চিন্ময় বাবু, যুবলীগনেতা ও পৌর কাউন্সিলর আজিম হোসেন, সুমন দাস, সাবেক ছাত্রলীগনেতা, মিলন, প্রভাষক মামুন অর রশিদ জুয়েলসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
