জি এম ফিরোজ উদ্দিন, মণিরামপুর (যশোর) : পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপ্রেরণায় দেশের ক্রান্তিলগ্নে রুখে দাঁড়িয়েছিল যুব মহিলা আওয়ামী লীগ। সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যুব মহিলা আওয়ামী লীগের জন্ম।
নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুসংগঠিত করার জন্যই গড়ে তোলা হয় যুব মহিলা লীগ। আজ নারীদের সম্মান পাওয়ার ক্ষেত্রে তার সুযোগ করে দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।’ প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বিকালে মণিরামপুর জেলা পরিষদের হলরুমে উপজেলা বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের আয়োজনে শোক দিবস পালন ও ১৭ আগস্ট দেশব্যাপি সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান ও জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি মুঞ্জুন্নাহার নাজনীন সোনালী। যুব মহিলা লীগের উপজেলা আহবায়ক জেলা পরিষদের সদস্য তাসরিন সুলতানা শোভার সভাপতিত্বে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, নারীরা আজ রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন, জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছেন। বিশ্ব শান্তি রক্ষাসহ বিভিন্ন জায়গায় নারীরাও নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
নারীর উন্নয়ন মানে পুরুষরা পিছিয়ে পড়া নয়। তা সমাজের সবার উন্নয়ন। নারী শিক্ষার পাশাপাশি কর্মক্ষেত্র সুযোগ করে দিতে হবে। এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে নারীরা নেই। ইসলামের নাম ব্যবহার করে কিছু লোক নারী অগ্রযাত্রায় বাধা দিচ্ছে। অথচ ইসলাম নারীদের সর্বোচ্চ অধিকার দিয়েছে। যারা ২০০১ থেকে ২০০৫ সালে দেশকে অস্থিতিশীল করেছে।
২০০৪ সালে গ্রেনেড মেরে ২৪ জন মানুষ হত্যা করেছে। তারাই হলো দেশের চিহ্নিত বিএনপি-জামায়াত। তারা আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। ৫০০ বিদ্যালয় পুড়িয়েছে। এদের আর মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাই আগামী নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। যুব মহিলা লীগের যুগ্ম আহবায়ক ডা: সুরাইয়া পারভীন ডেইজির পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জেলা পরিষদের সদস্য গৌতম চক্রবর্তী, অ্যাডভোকেট বশির আহম্মেদ খান, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী জলি আক্তার, জেলা যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি নাজমা আক্তার, নাসিমা আক্তার, তহমিনা খাতুন প্রমুখ।