বৃহস্পতিবার , ২৪ আগস্ট ২০২৩ | ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আশাশুনি
  4. কলারোয়া
  5. কালিগঞ্জ
  6. কৃষি
  7. খুলনা
  8. খেলা
  9. তালা
  10. দেবহাটা
  11. বিনোদন
  12. যশোর
  13. শিক্ষা
  14. শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  15. শ্যামনগর

চাকরি ছেড়ে ইউটিউব দেখে ড্রাগন চাষে লাল্টু ঘোষের সফলতা

প্রতিবেদক
satkhirar sakal
আগস্ট ২৪, ২০২৩ ১২:১৯ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিনিধি : চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে ড্রাগন চাষে মনোনিবেশ করে সফলতার মুখ দেখছেন পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র ঘোষের পুত্র লালটু ঘোষ। জীবন যুদ্ধে হার না মানা লালটু ঘোষ তাই বেছে নিয়েছেন ড্রাগন চাষ। প্রথম বছরে তিনি ১২ শতক জমিতে ড্রাগন চাষ শুরু করেন। পরবর্তীতে অধিক লাভজনক হওয়ায় পর্যায়ক্রমে তিনি জমির পরিমাণ বাড়াতে থাকেন। তিনি জানান ইউটিউব দেখেই তিনি এই ড্রাগন চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন ।

ঝিনাইদহ শহর থেকে চারা সংগ্রহের কাজ শুরু করেন তিনি। সে সময় তার চারা সংগ্রহে খরচ মিলিয়ে প্রত্যেক চারা প্রতি ৫১ টাকা থেকে ৫২ টাকায়। তিনি জানান প্রতি এক বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষের জন্য তার সর্বমোট খরচ হয়েছে আড়াই লক্ষ টাকার মত। প্রথম বছরেই তিনি ১২ শতক জমিতে ফল বিক্রি করেন ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার। ওই বছর তার জমিতে সর্বমোট খরচ হয়েছিল প্রায় ২ লক্ষ টাকার মতো।

তবে এ বছর যে টাকার ফল বিক্রি হবে সেটা থাকবে তার সম্পূর্ণ লাভের অংশ। চারা রোপনের পর থেকে ৭ মাসের মাথায় গাছে ফুল আসা শুরু করে। সেখান থেকে মাত্র ৪০ থেকে ৪২ দিন পর গাছে পরিপক্ক ফলের ধরণ আসতে থাকে । তিনি জানান ড্রাগন চাষের পদ্ধতি এটা একটা ন্যাচারাল পদ্ধতি। চারা রোপনের ঠিক ১৫ দিন পর জমিতে অল্প পরিমাণে জৈব সার, রাসায়নিক সার,যেমন টিএসপি, পটাশ, ডিএপি, কেঁচো সার ইত্যাদি প্রয়োগ করতে হয় । তবে মাঝে মধ্যে গাছে পরিমাণ মতো স্প্রে করলে খুব ভালো হয়। তবে যদি স্প্রে না করা হয় তাতে কোন অসুবিধা নেই।

তিনি জানান বর্তমানে প্রতি কেজি ২৪০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা দরে ড্রাগন ফল বাজারে বিক্রি হচ্ছে। তবে যদি বাজারদর এইভাবে ঠিকঠাক মত থাকে তাহলে বিঘা প্রতি জমিতে বছর শেষে ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকার মত ড্রাগন ফল বিক্রি করা সম্ভব হবে। এছাড়া তিনি জানান বেসরকারী সংস্থা উন্নয়ন প্রচেষ্টা সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে সংস্থাটি আমাকে ড্রাগন চাষাবাদের জন্য নগত ২০ হাজার টাকার অনুদান প্রদান করেন। ড্রাগনের পাশাপাশি লালটু ঘোষ এ বছর নতুন করে স্ট্রবেরি ফল চাষাবাদ করবেন বলে জানান। তালা উপজেলা সহকারী কৃষি স¤প্রসারণ কর্মকর্তা চৈতন্য কুমার দাস জানান উপজেলায় অনেক এলাকায় ড্রাগন চাষে কৃষক লাভবান হচ্ছে।

সর্বশেষ - সাতক্ষীরা সদর