সুব্রত কুমার গোলদার, (খাজরা) আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনির খাজরার পল্লীতে এক কলেজ শিক্ষক বিভিন্ন সবজির চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন। পাশাপাশি তিনি এলাকার কয়েকজন প্রান্তিক চাষিকে বিভিন্ন পরামর্শে সবজি চাষের আওতায় এনে তাদেরকেও সফলতা দেখিয়েছেন।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে খাজরা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দূর্গাপুর গ্রামে কলেজ শিক্ষকের সবজি ক্ষেতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ১ বিঘা জমিতে ঢেড়সের ফুল বাতাসে দুলছে। উকি মারছে ছোট বড় খাওয়ার উপযুক্ত ঢেড়স। পাশেই মাচানে সারি সারি ঝুলে আছে চিচিঙ্গা ও ধোন্দল।
তারপাশেই আছে কচুর মুখি গাছ। আছে শশাসহ নানা প্রজাতের সবজি। নিড়ানী হাতে শিক্ষক হিরন্ময় মন্ডল কচুর মুখী গাছ পরিচর্চায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। দূর্গাপুর মৌজায় উঁচু জমিতে তিনি এবার ধান চাষ না করে সবজির চাষ করেছেন। কলেজ ছুটির পর ও সাপ্তাহিক দুই দিন ছুটি পাওয়ায় অবসর সময়ে তিনি নিজেই এ চাষ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
এবিষয়ে কলেজ শিক্ষক হিরন্ময় মন্ডল বলেন,আমি এবার প্রায় ১ বিঘা জমিতে সবজির চাষ করেছি। আমার বাড়ির আঙিনায় সবজি চাষ করলেও এবার প্রথম ধান্য জমিতে সবজির আবাদ করেছি। নিজের জমিতে বিশ মুক্ত সবজির ভাল ফলন দেখে আমার খুব ভাল লাগে। তিনি আরো জানান,আমার সবজি ক্ষেতে বেশিরভাগ জৈব সার ব্যবহার করি। পোকা দমনে মাঝে মাঝে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করি। প্রান্তিক চাষি পঞ্চরাম বলেন,আমি লোকের বাড়িতে দিন মজুরের কাজ করি। আমার ৫শতক জমি উঁচু হওয়ায় ধান খুব একটা ভাল হত।
এবার আমি ধানের পরিবর্তে সবজির চাষ করেছি। ফলন ভাল হয়েছে। তবে দূর্গাপুর বিলে শুকনা মৌসুমে সাধু পানির অভাবে অনেক কৃষক সবজি চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে। যদি এই বিল গুলোর সরকারি খাল খনন করে সাধু পানি ধরে রাখা যায় তাহলে কৃষিতে এই অঞ্চলের উন্নতি সম্ভব বলে অনেকেই মনে করেন। পাশাপাশি প্রান্তিক কৃষকরা আশাশুনি কৃষি অফিসের আওতায় খাজরা বøকের দায়িত্ব প্রাপ্ত কৃষি অফিসারদের নিয়মিত কৃষকদের ক্ষের পরিদর্শন, পরামর্শ ও সবজি চাষিদের সরকারি কৃষি প্রনোদনার আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।