নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় পাট চাষে উৎপাদন খরচ বাড়লেও ন্যায্য দাম পাচ্ছে না চাষিরা। এবছরও বাজারদর নি¤œমুখী হওয়ায় উৎপাদন খরচ তুলতে পারছে না তারা। তালা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ১৮৪২ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল পাটের আবাদ হয়েছে। কৃষকরা বলছেন, সার-কীটনাশক, শ্রম খরচও আগের চেয়ে বাড়েছে।
পাট উৎপাদন খরচ যেমন বেড়েছে সে তুলনায় বাজারে পাটের দাম পাওয়া যাচ্ছেনা বলে তারা অভিযোগ করেছেন। তালার বারুইহাটি গ্রামের শিমুল মোড়ল বলেন, পাট চাষের সময় নানা বিড়ম্বনার শিকার হন তারা। একবিঘা জমিতে হালচাষ ও বীজ বপণ থেকে শুরু করে সার-কীটনাশকের খরচ, শ্রমিক খরচ, জাগ দেওয়া, আঁশ ছড়ানোসহ ঘরে তোলা পর্যন্ত খরচ পড়েছে ১৫-১৬ হাজার টাকা। অথচ মৌসুমের শুরুতে বাজারে পাট ১৮০০ টাকা মণ। অথচ গত বছরে এই পাট ২৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত পাট কেনাবেচা হয়েছে। পাট চাষি হারুন সরদার বলেন, দুই বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। কম পক্ষে ৩ হাজার টাকা পাটের মণ থাকা লাগবে। তাহলে কৃষকের লাভবান হবে।
ব্যবসায়ী রহমত বিশ^াস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পাট কিনে বিভিন্ন জেলায় পাঠান তিনি। কিন্তু এবছর বড় বড় মোকামে বেচাকেনা না থাকায় পাটের দাম কমে গেছে। মোকামে চাহিদা না বাড়লে পাটের দাম বাড়বে না বলে তিনি জানান। তালা উপজেলা কৃষি সম্পসারণ কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার রুমা বলেন, চলতি মৌসুমে ১৮৪২ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল পাটের আবাদ হয়েছে। পাটের দাম আপাতত কিছুটা কম হলেও দ্রæত সময়ে দাম বেড়ে যাবে বলে আশা করছি । দাম বাড়লে কৃষক লাভবান হবে এবং ভবিষ্যতে পাট চাষির সংখ্যা বাড়বে বলে তিনি দাবি করেন।