ই. এইচ সুজন : সাতক্ষীরা টু আশাশুনি সড়কের প্রতিমধ্যে কিছু কিছু স্থানে সড়ক দেবে যাওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সড়কে চলাচলরত সাধারণ মানুষের। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের প্রতিমধ্যে দেবে গিয়ে উচু নিচু হওয়ায় বাড়ছে সড়ক দূরঘটনার মত ঘটনা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক থেকে আশাশুনি বাসস্টান্ড পর্যন্ত দীর্ঘ ২৪কিলোমিটার সড়ক। সড়কটি রোডস এন্ড হাইওয়ে অধিদপ্তর নতুন করে নির্মান করেন। কিন্তু নির্মানের কয়েক বছর যেতে না যেতেই সড়কের প্রতিমধ্যে সদরের ভালুকা চাঁদপুর সাত্তারের মিল সংলগ্ন স্থানে সড়কের এক পাশ দেবে গিয়ে নিচু হয়ে গেছে। এছাড়া সাতক্ষীরা সদর ও আশাশুনি উপজেলার সিমান্তবর্তী এলাকা ঘোলঘোলা নামক স্থানে সড়কের এক পাশ দেবে গিয়ে মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে।
এদিকে আশাশুনি গামী সড়কের নওয়াপাড়া, মহেশ্বাকটি, চিলেডাঙ্গা নামক স্থানে কিছু কিছু জায়গায় সড়কের এক পাশ দেবে গিয়ে দূরঘটনা প্রবণ এলাকায় পরিনত হয়েছে। সড়কে চলাচলরত যানবাহন এসকল দূরঘটনা প্রবন সড়কে পৌছালেই দূরঘটনা এড়াতে সড়কের বিপরীত পাশ দিয়ে চলাচল করে থাকে। এতে করে অপর দিক থেকে আশা চলাচলরত যানবাহন চালকদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। অনেক সময় মুখোমুখি সড়ক দূরঘটনার মত ঘটনাও ঘটতে দেখা গেছে।
এবিষয়ে সড়কের চলাচলরত মটরসাইকেল চালক সাহেব আলী জানান, দেবে যাওয়া সড়কের জন্য প্রায় সময় আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বিপরিত দিক থেকে দ্রæত গতিতে আশা যানবাহন দূরঘটনা এড়াতে সড়কের অপর পাশ দিয়ে চলাচল করে থাকে। তবে সড়কে চলাচলরত মিনিবাস চালকরা জানান, সড়ক দেবে যাওয়ায় সেখান দিয়ে চলাচল করা অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যেহেতু একটি বাসে অনেক যাত্রী থাকে, সেহেতু তাদের জীবনের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের। তাই দূরঘটনা এড়াতে বাধ্য হয়ে সড়কের প্রতিমধ্যে দেবে যাওয়া সড়কের অপর পাশ দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে এভাবে দেবে যাওয়া অবস্থায় পড়ে থাকায় সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের দায়িত্ব নিয়ে জনমনে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হতে দেখা গেছে।
দূরঘটনার হাত থেকে যাত্রী সাধারণকে রক্ষা করতে সড়ক ও জনপদ বিভাগকে অতিদ্রæত আশাশুনি টু সাতক্ষীরা সড়কের দেবে যাওয়া স্থানে সংস্কারের জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন সড়কে চলাচলরত যাত্রী সাধারণ ও পথচারীরা।