মোঃ সাইফুল ইসলাম, রমজাননগর কৈখালী প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ৫নং কৈখালী ইউনিয়নের পূর্ব কৈখালী আর বি.জি ক্যাম্প সংলগ্ন দীর্ঘ এক যুগের মধ্যে মাটি পড়েনি এই ওয়াপদার উপরে, রক্ষণাবেক্ষণ আর সংস্কারের অভাবে শ্যামনগর উপক‚লের দক্ষিণ কৈখালী একতা ক্লাবের পাশ হতে কৈখালী আর.বি.জি.বি ক্যাম্প সংলগ্ন কালিন্দী নদীর ওয়াপদা বেড়িবাঁধটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে।
টেকসই বেড়িবাঁধের নিমিত্তে ২০০৫ সালে আর.বি.জি ক্যাম্প হতে ১ কিলোমিটারের বেশি ওয়াপদায় বেড়িবাঁধে বøক দিয়ে সাপোর্ট দেয়া হয়। পরবর্তিতে ওয়াপদার উপর দিয়ে বা বøকগুলোর পাশ দিয়ে মাটি দেয়ার অভাবে বøকগুলো এখন পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। যে কোনো সময় ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস এবং ভাঙনের কবলে প্লাবিত হতে পারে নদী। এতে কৈখালী ইউনিয়নের হাজার হাজার পরিবার সহ শত শত বিঘা মৎস্য ঘের, ফসলি জমি সহ ঘরবাড়ি ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। ঘূর্ণিঝড় ফণী, বুলবুল, আম্ফান, যশ, ইয়াসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ অনেক বেড়িবাঁধ সংস্কার হলেও এখানে কোনো কাজ হয়নি। অথচ এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মানুষ আস্থা রেখেছিলো বøক দেয়া এই বেড়িবাঁধের উপর। সেটিও আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
জরাজীর্ণ বেঁড়িবাধের কারণে নদী ভাঙন আতঙ্ক রাতের ঘুম কেড়েছে ইউনিয়নবাসীর। এদিকে কৈখালী আর.বি.জি কোম্পানী ক্যাম্প সংলগ্ন নয় ছয়ের মধ্য দিয়ে অল্প কিছু কাজ করলে ও সম্পূর্ণ মাটির কাজ না করার কারনে পানি উন্নয়ন বোর্ড বেশিরভাগ বøক দেওয়া বাঁধের ওয়াবদা বেড়ি-বাঁধটি ভয়াবহ ও দীর্ঘদিন অবহেলিত। গেল ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জলোচ্ছ¡াসে এই বেড়িবাঁধের ওপর উপচে পানি ঢুকে পড়ে লোকালয়ে, শ্যামনগর উপজেলার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত ঘেঁষা এই ইউনিয়নের লোকজন মৎস্য চাষি, ফসলি জমির মালিকরা প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অসহায় দরিদ্র জেলে বাওয়ালী, দিনমুজুর বসবাস করে আসছে। ইতিমধ্যে ভাঙন দেখা দিয়েছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
প্লাবিত হতে পারে পুরো ইউনিয়ন ও শত শত বিঘা ফসলি জমি ও মৎস্য ঘের। স্থানীয়দের নদী ভাঙনের আতঙ্কে রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নেই কোনোরকম যথাযথ ব্যবস্থা যা স্বাভাবিক জোয়ারের পানি উপচে আসছে লোকালয়ে। নদী ভাঙন রোধে স্থানীয় বসাবসকারীদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে কৈখালীর কালিন্দী নদীর বেড়িবাঁধ সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।