মোঃ সাইফুল ইসলাম, রমজাননগর প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ৫নং কৈখালী ইউনিয়নের পূর্ব কৈখালী ও পশ্চিম কৈখালী ১ নং ও ৩ নং ওয়ার্ডের সিমান্ত রাস্তাটি বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাটির রাস্তাটি পুকুরে গিলে খাচ্ছে। এই রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষের চলাচল। অথচ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি পুকুরের আগ্রাসনে হারিয়ে যেতে বসেছে।
এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে জনগণকে ভোগান্তিতে পড়তে হবে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ রাস্তাটি পূর্ব কৈখালী ও পশ্চিম কৈখালী গ্রামের ১ নং ও ৩ নং ওয়ার্ডের মাঝখান দিয়ে যাওয়ার মাটির কাঁচা রাস্তাটি ওই গ্রামের আরব আলীর মসজিদ হতে এছেরউদ্দীন গাজীর মসজিদ পর্যন্ত ৮-১০ টি বড় পুকুরের পার্শ্ব দিয়ে চলে গেছে। এ রাস্তা দিয়ে ভেটখালী বাজার, যাদবপুর বাজার, ফরেস্ট অফিস, বিজিবি ক্যাম্প, নদী পাড়, ইউনিয়ন পরিষদ, স্কুল -কলেজ, মসজিদ মাদ্রাসা, হাসপাতাল। স্থানীয় সহ প্রায় ৮ টি গ্রামের মানুষ নিয়মিত চলাচল করে। এলাকার কৃষকগণ তাদের উৎপাদিত ফসল এ পথ দিয়ে এলাকার বৃহৎ হাট ভেটখালী বাজারে নিয়ে গিয়ে কেনা-বেচা করে।
এ ছাড়া এলাকার শত শত শিক্ষার্থী এ সড়ক দিকে কৈখালী মাদ্রাসা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজে আসা যাওয়া করে। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের পশ্চিম কৈখালী ও পূর্ব কৈখালী গ্রামের ৪-৫টি পুকুর রাস্তাটিকে গ্রাস করছে। রাস্তাটি প্রায় ৬-৭ ফুট চওড়া ছিল যা এখন অনেক জায়গায় ৩-৪ ফুট পুকুরে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। পুকুরের রাস্তার অংশে গাইড ওয়াল নির্মাণ না করায় এবং বিগত দিনে কোনোরকম সংস্কার না হওয়ায় দিন দিন রাস্তাটি মরণ ফাঁদে পরিণত হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা আর বাড়ছে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি।
মূলত রাস্তাটি টার্নিং পয়েন্টে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দিনের থেকে রাতে চলাচলে অনেকের সুযোগ সুবিধার জন্য গাড়ী নিয়ে চলা তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাফেরা ও যায় না, বিভিন্ন অসুবিধা নিয়ে বাড়িতে ফিরতে হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। পূর্ব কৈখালী গ্রামের বাসিন্দা সুন্দরবন ইয়ুথ ফ্রেন্ডশীপের সভাপতি মোঃ সোহেল রানা বলেন, স্কুল কলেজ,মসজিদ মাদ্রাসা ও ভেটখালী বাজারসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি পুকুরে মিশে যেতে বসেছে। রাস্তাটি বন্ধ হয়ে গেলে এলাকাবাসীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে।
পশ্চিম কৈখালী গ্রামের কৃষক আয়ুবআলী মোড়ল বলেন, আমাদের চলাচলের ও উৎপাদিত ফসল নিয়ে হাটে যাওয়ার একমাত্র মাটির কাঁচা রাস্তা এটি। এই পুকুরের স্থানে দুইপাশে গাইড ওয়াল নেই কোনো রকম সরকারি বরাদ্দের সংস্কার কাজ ও না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাটি দ্রæত সংস্কার করা না হলে যেকোনো সময়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।