আলতাফ হোসেন বাবু : ‘সাতক্ষীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক সেমিনার, আবৃত্তি ও সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাতক্ষীরা বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে ১৪ অক্টোবর শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় শহরের ম্যানগ্রোভ সভা ঘরে ‘সাতক্ষীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক সেমিনার, আবৃত্তি ও সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
সাতক্ষীরা বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান মন্ময় মনির’র সভাপতিত্বে ও কবি গুলশান আরার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এর প্রতিনিধি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আকাশ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বাসু দেব বসু, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর এসএএম আব্দুল ওয়াহেদ, সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হামিদ, সাবেক জেলা শিক্ষা অফিসার কবি কিশোরী মোহন সরকার, কবি শুভ্র আহমেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঝাউডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক শহীদুল ইসলাম, কবি ও সাংবাদিক সুকুমার দাস বাচ্চু, কবি স ম তুহিন, খুলনা বিভাগীয় স্কাউটস্ উপ-কমিশনার ইদুজ্জামান ইদ্রিস, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী নবকুমার ঢালী, কবি নাট্য ব্যক্তিত্ব একোব্বর হোসেন।
অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করেন তাসমিনা তুষ্টি, আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী ও সুমাইয়া ইয়াসমিন। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার। বর্তমান সরকার শিক্ষাখ্যাতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়েছে। সাতক্ষীরাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে এবং সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক’র প্রচেষ্টায় মন্ত্রী পরিষদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাতক্ষীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় খসড়া অনুমোদন দিয়েছেন। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ডা. রুহুল হক’র প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানায়।
আগামী ২০২৪ সালেই সাতক্ষীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালু করতে হবে। প্রয়োজনে ভাড়া বাসাবাড়ি নিয়ে যেমন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ চালু করা হয়েছিলো, ঠিক তেমনি ভাড়া বাসাবাড়ি নিয়ে সাতক্ষীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালু করতে হবে।
আলোচনাকালে বক্তারা সাতক্ষীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে খান বাহাদুর আহছানুল্লাহ হল, বিজ্ঞানী পিপি চন্দ্র রায় হল, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল হল, জেলার যে কোন একজন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধার নামে হল তৈরির দাবি জানান।
বক্তারা আরো বলেন, সাতক্ষীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে সাতক্ষীরা জেলার মেধাবী ছেলে-মেয়েরা দক্ষ হওয়ার পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তিতে পরিনত হবে। এই দক্ষ জনশক্তিই দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করবে। সাতক্ষীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সুন্দর বনের জীব বৈচিত্র নিয়ে গবেষণা, দুযোর্গ ও উপক‚লীয় এলাকা নিয়ে গবেষণা, পর্যটন বিষয়ে গবেষণা এবং সাতক্ষীরার সাদা সোনা নামে খ্যাত বাগদা চিংড়ীর উৎপাদন নিয়েও গবেষণা হতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় শুধু যান্ত্রিক হলে হবে না, সেখানে মানবিকও হতে হবে। শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা করতে হবে।পেরিশেষে আলোচকরা ইউনিভার্সিটি গ্রান্ড কমিশন (ইউজিসি)’র নিকট প্রস্তাব রাখেন সাতক্ষীরার ভৌগলিক অবস্থান বিবেচনা করে যোগাযোগ ব্যবস্থার চিন্তা করে সাতক্ষীরা- খুলনা মহাসড়কে পদ্মাসেতু রুটে জেলা সদরে সাতক্ষীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে জায়গা অধিগ্রহণ ও অবোকাঠামো নির্মানের আহবান জানান।