মণিরামপুর প্রতিনিধি : যশোরের অভয়নগর, মনিরামপুর ও কেশবপুর নিয়ে ৯৬ গ্রাম অবস্থিত। মূলত একটি সময় ওই ৯৬ টি গ্রামই হিন্দু অঞ্চল ছিল। এবার খুলনা বিভাগ বা এর আশেপাশের কোনো জেলাতেই শারদীয় দূর্গা উৎসবের এতো বড় আয়োজন করা হচ্ছে না- এই অভিমত মশিয়াহাটি পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যদের।
যশোরের অভয়নগরের মশিয়াহাটিতে এবারের শারদোৎসবে গড়া হচ্ছে ১০১ পৌরানিত কাহিনী অবলম্বনে প্রায় তিন শতাধিক প্রতিমা। গীতা, রামায়ণ আর মহাভারতের বেশকিছু চরিত্র ভাস্কর্যশিল্পীরা ফুটিয়ে তুলছেন তাদের শিল্পকর্মের মাধ্যমে।নির্মাতাদের মতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অনেক কিছুই শেখার থাকবে এসব চরিত্রেরর মাধ্যমে।হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা।
দেশের অন্যান্য স্থানের মতো যশোরের বিভিন্ন এলাকায় তৈরি করা হয়েছে দুর্গা প্রতিমা, এখন রঙের আঁচড় দিচর দিতে ব্যাস্ত সময় পার করছে প্রতিমা কারিগররা। মশিয়াহাটি আঞ্চলিক দুর্গাপূজা মন্দিরের ভেতর সহ প্রাঙ্গণজুড়ে সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে এ সকল মূর্তী গুলো। পাশে তৈরি করা হচ্ছে বিশাল প্যান্ডেল। যেখানে স্বাগত জানানো হবে দর্শনার্থীদের। পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যরা বলেন গতবারে জলের কারণে ছোট আকারে আয়োজন ছিল।
এবার শুকনো থাকায় ও আমাদের পূজার শতবর্ষ উপলক্ষে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি সুবিশাল আয়োজনের। হিন্দু ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত ৯৬ গ্রামের মানুষের মিলনস্থলে শুধু মূর্তীর সংখ্যাই নয়, সবচেয়ে বড় মেলার ও আয়োজন করা হবে শারদোৎসবকে কেন্দ্র করে। সেলক্ষ্যে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা আলোকসজ্জা করা হবে।থাকবে প্রতিদিনই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্থানীয় শিল্পীদের পাশাপাশি দেশের গুণী শিল্পীরা সেখানে উপস্থিত থাকবেন। মশিয়াহাটির এই বিশাল আয়োজনের ভাষ্করা ছয় মাস ধরে প্রায় ১৫ জন শিল্পী এ বিশাল মূর্তসেচের কাজ করে আসছে।