শহিদ জয়, যশোর : যশোরে শারদীয় দুর্গোৎসবের মহা অষ্টমীতে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যশোরসহ আশপাশের ৯টি জেলা থেকে আগত ভক্তরা এ পূজার আরাধনায় অংশগ্রহণ করেছেন। হিন্দু ধর্ম মতে, কুমারী হচ্ছে শুদ্ধতার প্রতীক। দেবী দুর্গার আরেক নাম কুমারী। এ পূজার মাধ্যমে স্বয়ং মা দুর্গা মানুষের ভেতরে বিকশিত হন। তাই শঙ্খ, ঘণ্টা আর উলু ধ্বনির মধ্য দিয়ে জাঁকজমকপূর্ণভাবে দুর্গা দেবীকে কুমারী রূপে অর্ঘ্য প্রদান করা হয়।
যশোর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনে আজ রোববার (২২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় কুমারী পূজা। এ বছর কুমারী হিসেবে যশোর শহরের বেজপাড়া এলাকার সাধন গাঙ্গুলীর ছয় বছরের মেয়ে প্রেক্ষা গাঙ্গুলী উমাকে পূজা করেছেন ভক্তরা। কুমারী উমার মাধ্যমে দেবীকে আরধনা করতে পেরে খুশি রামকৃষ্ণ আশ্রমে আসা ভক্তরা।
একইসাথে আজ বিশ্ব শান্তি কামনা করেন তারা। জানা গেছে, খুলনা বিভাগের মধ্যে বাগেরহাটে এবং যশোরে এ কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়। ফলে যশোরের পার্শবর্তী ও দূর-দূরান্তের জেলাগুলো থেকে অনেক ভক্তরা এসেছেন কুমারী পূজার আরাধনায় অংশগ্রহণ করতে। সাতক্ষীরা তালা উপজেলার মাগুরা গ্রাম থেকে যশোর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনে কুমারী পূজার আরাধনা করতে আসা অলোক বসুর। তিনি বলেন, ‘কুমারী দেবীর আরাধনা করতে আমরা কয়েকজন ৭০ কিলোমিটার দূর থেকে যশোরে এসেছি।
বিশ্ব জগতের মঙ্গল কামনা করে প্রার্থনা করেছি। কুষ্টিয়া থেকে যশোরে কুমারী পূজায় অংশগ্রহণ করতে আসেন নমিতা বিশ্বাস। তিনি বলেন, আমরা সপরিবারে প্রতিবছর যশোরে কুমারী পূজা করতে আসি। এবছরও এসেছি। যেহেতু অনেক জেলা থেকে প্রতিবছর ভক্তরা আসেন সেহেতু আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা হয় অনেক ভালো লাগছে। এ বছর যশোর জেলার আট উপজেলা ও পৌর এলাকায় ৭৩২ টি মন্দির এবং মÐপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যা গত বছরের চেয়ে ৯টি বেশি। এরমধ্যে যশোর সদর উপজেলায় ১৬৭টি মন্দির ও মÐপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।