বিলাল হোসেন : ডাক্তার সংকটে প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য সেবা ব্যহত হচ্ছে ৫০ শয্যার শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এর ফলে দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে বেরসকারি ক্লিনিকের সংখ্যা। প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত শ্যামনগর উপজেলা এখানকার অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। অনেকের ভালো চিকিৎসা করার টাকা থাকে না। এজন্যে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকে।
কিন্তু স্বাস্থ্য সেবার মান ভাল না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে ভর্তি হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যমতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ৩৩ জন মেডিক্যাল অফিসারের পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৮ জন। মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের ১৪ জনের পদ থাকলেও কর্মরত আছেন ৯ জন। ৩৫ জন নার্সের স্থলে কর্মরত আছেন ৩৩ জন।
এছাড়া ২০২০ সালে ডা. হানিফ সুমন নামে একজন মেডিকেল অফিসার যোগদান করলেও যোগদানের পরে তিনি আর হাসপাতালে আসেননি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স কতৃপক্ষ। জরুরি বিভাগ ও হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের সেবা দিতে ৮ জন ডাক্তার দিয়ে চলছে প্রতিনিয়ত হাসপাতালের কার্যক্রম। বেশির ভাগই বহির্বিভাগে রোগী দেখেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তরিকুল ইসলাম। এমনদিনও দেখা যায় তিনি একাই দেখছেন শতাধিক রোগী।
গোলাম রাব্বানী নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, একজন ডাক্তারই শতাধিক রোগী দেখছেন। তাই দীর্ঘ অপেক্ষা শেষেও মিললোনা ডাক্তারের দেখা। অনেক ভিড় থাকায় ডাক্তার না দেখিয়ে চলে যাচ্ছি। সেবা নিতে আসা অরুণ বিশ্বাস বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর নানান রোগে আক্রান্ত উপক‚লবাসীর স্বাস্থ্যসেবা কবে নিশ্চিতকরণ হবে এমনটাই প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা সিভিল সার্জন ডা.আবু সুফিয়ান রুস্তম আমাদের সময়কে বলেন, জেলা থেকে এখন ডাক্তার পোস্টিংয়ের বিধান নেই। আমি বিভাগীয় পর্যায়ে কথা বলে অবশ্যই ডাক্তারের ব্যবস্থা করা হবে।