বুধবার , ১ নভেম্বর ২০২৩ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আশাশুনি
  4. কলারোয়া
  5. কালিগঞ্জ
  6. কৃষি
  7. খুলনা
  8. খেলা
  9. তালা
  10. দেবহাটা
  11. বিনোদন
  12. যশোর
  13. শিক্ষা
  14. শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  15. শ্যামনগর

আশাশুনি উপজেলা পরিষদের পাবলিক টয়লেট ব্যবহারের অনুপযোগী

প্রতিবেদক
satkhirar sakal
নভেম্বর ১, ২০২৩ ১১:৪৯ অপরাহ্ণ

শেখ বাদশা, আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনি উপজেলা পরিষদের পাবলিক টয়লেটটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ ৩-৪ বছর যাবত পাবলিক টয়লেটটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে বাথরুমের দুর্গন্ধে মারাত্মকভাবে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ উপজেলা পরিষদে সেবা নিতে এসে থাকেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ উপজেলা পরিষদের প্রবেশ মুখের পশ্চিম পাশে পাবলিক টয়লেটটি ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পরিষদে যাতায়াতের সময় বাধ্য হয়ে নাকে-মুখে কাপড় দিয়ে চলাচল করতে হয় তাদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে বলেন দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত অবহেলা, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষ্কার না করার ফলে বাথরুমটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ বলেন, উপজেলা প্রশাসনের বহু কর্মকর্তাকে বিষয়টি একাধিকবার অবগত করা হলেও বাথরুমটি পরিষ্কার করার জন্য কেউ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। ফলে উপজেলার কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সাধারণ মানুষ দুর্গন্ধে অতেষ্ট হয়ে উঠছে। আশাশুনি উপজেলা পরিষদে আগত সাধারণ মানুষের হঠাৎ প্রাকৃতিক ডাকের সাড়া দিতে কোন উপায় থাকে না।

বুধবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, আশাশুনি উপজেলার পরিষদের পশ্চিম পাশে উপজেলা প্রশাসনের বাথরুমটি দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার না করায় অসহ্য দূর্গন্ধে উপজেলা পরিষদের পরিবেশ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বাথরুমের চারিপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ময়লা আবর্জনা। এক কথায় বাথরুম পরিণত হয়েছে ময়লার ভাঙ্গাড়ে।

পাবলিক টয়লেটের দক্ষিণ পাশেই রয়েছে উপজেলা পরিষদের হলরুম, উত্তর পাশে রয়েছে পরিসংখ্যান অফিস, ফুড অফিস, পূর্ব পাশে আছে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস এবং পশ্চিম পাশে রয়েছে সদ্য উদ্বোধনকৃত মডেল মসজিদ। সবার সুবিধার্থে তৎকালীন সময়ে উপজেলা পরিষদের ভিতরেই নির্মাণ করা হয়েছিল বাথরুম। কিন্তু বর্তমানে বাথরুমের বর্জ্যের দুর্গন্ধে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন সবাই। দীর্ঘদিন ধরে অপরিষ্কার হওয়া এসব বর্জ্য একদিকে যেমন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে মানুষের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকিও রয়েছে।

বিশেষ করে বাথরুমটি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের পার্শ্ববর্তী হওয়ায় টয়লেটের দুর্গন্ধে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষা অফিসে আগত শিক্ষক মন্ডলী। ব্যাপারে বড়দল ইউনিয়নের ভবতোষ সরকার বলেন আমি উপজেলায় এসেছি আমার এক বিশেষ কাজের জন্য। হঠাৎ পেটের ভিতর ব্যথা করায় প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে আমি বাথরুমে গিয়ে দেখতে পাই সেটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে পার্শ্ববর্তী বসতবাড়ির পারিবারিক টয়লেট ব্যবহার করতে হয় তাকে।

কাদাকাটি ইউনিয়নে স্কুল শিক্ষক মহাদেব গাইন বলেন, আমি অফিসিয়াল কাজে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে গমন করি। শিক্ষা অফিসের পাশে পাবলিক টয়লেট থেকে ভেসে আসা দুর্গন্ধে সেখানে অবস্থান করা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছিল। দুর্গন্ধ এতটাই যে, কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি অসুস্থ বোধ করছেন বলে জানান সাংবাদিকদের।

স¤প্রতি মডেল মসজিদ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উক্ত বাথরুমের ময়লা-আবর্জনায় দুর্গন্ধে অনেকেই অতিষ্ট হলেও লোক লজ্জার জন্য বিষয়টি কাউকে বলতে পারেননি বলে জানান আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথিবৃন্দ।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নুর বলেন, এ বিষয়টি আমাকে কেউ অবহিত করেননি। উপজেলা পরিষদে আগত সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়বে এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যাবে না। যত দ্রæত সম্ভব এ সমস্যার সমাধান করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

সর্বশেষ - সাতক্ষীরা সদর

আপনার জন্য নির্বাচিত