জিএম আব্বাস উদ্দিন : দেবহাটায় সুশীল গাতি জনবসতি এলাকায় চলছে ইট ভাটার পাখা তৈরির অবৈধ কারখানা। অভিযোগের প্রায় ১ মাসেও বন্ধ হয়নি কারখানাটি। হুমকির মুখেশিশু স্বাস্থ্য। ঢাল তলোয়ার নেই তবু, নিধিরাম সরদার! মুখেই কামান দাগান,”বেটা হে, খবরদার!
এমনই ভূমিকায় অবতৃন্য হয়ে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দেদারচ্ছে চালিয়ে যাচ্ছে ইট ভাটার পাখা তৈরির কারখানা। যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নেই কোন বৈধ অনুমোদন। তাতে আবার অধিকাংশ শ্রমিকই অপ্রাপ্ত বয়স্ক। যে কারনে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। অন্যদিকে কারখানার ফাইবারের পাখা তৈরীর বিষাক্ত আটার গন্ধে হুমকির মুখে শিশু, স্থানীয় জন সাধারনসহ জীব-বৈচিত্র।
উপজেলার সুৃশিলগাতী গ্রামের স্বপন কুমারের পুত্র অনুপ কুমারের বিরুদ্ধে নির্বাহী অফিসার বরাবর গত ১২অক্টোবর এরকমই একটি অভিযোগ করেছেন ঐ এলাকার কয়েকজন ভুক্তভোগি সচেতন ব্যক্তি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বকুলকে নির্দেশ দিলে বুধবার বিষয়টি নিয়ে শুনানীসহ তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সুশিলগাতী গ্রামের স্বপন কুমারের পুত্র অনুপ কুমার স¤প্রতি আকষ্কিক ভাবে তাহার পৈত্রিক জায়গায় একটি ইট ভাটার ফ্যান তৈরির কারখানা স্থাপন করেছেন। উক্ত ফ্যান এমন ক্যামিক্যাল দিয়ে তৈরি করা হয় যাহার গন্ধে এলাকাবাসির শিশুসহ স্থানীয়দের শ্বাাস প্রশাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। এমনকি শিশু সন্তান গুলোর চরম ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বাড়িতে খাদ্য খাওয়ার সময় ক্যামিক্যালের দূর্গন্ধে বমি এসে যায়।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে কারখানা মালিক অনুপ কুমারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাগজ পাতি করার জন্য দিয়েছি। এছাড়া বিষক্তগন্ধ এবং শিশু শ্রমের বিষয়ে এড়িয়ে যেয়ে তিনি বলেন, এসব শ্রমিকদের তো আমি সংসার চালাচ্ছি। এ ব্যাপারে দেবহাটা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বকুলের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভাব হয়নি। এলাকাবাসী দাবি পাখা তৈরি কারখানাটি দ্রæত বন্ধের জন্য উদ্ধাতন কর্তৃপক্ষের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে।
